ফরিদপুরের নির্বাচনী আসন–২ (নগরকান্দা–সালথা) এর উপ নির্বাচনে একাধিক প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রাপ্তির প্রত্যাশায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। প্রার্থীদের প্রত্যাশা যে কোন কৌশলেই হোক তাদের মনোনয়ন পেতে হবে। একাধিক আ.লীগের নেতা কর্মীরা যার যার মতো কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে লবিং অব্যাহত রেখেছে।
অপরদিকে নগরকান্দা– সালথায় আনাচে কানাচে, হাট-বাজারে, চায়ের দোকানের আড্ডায় ফরিদপুর নির্বাচনী আসন-২ এ কে পাবে মনোনয়ন।
একাধিক প্রার্থীদের মধ্যে গণ সংযোগে এগিয়ে আছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী মৎসজীবি লীগের আহ্বায়ক শিল্পপতি, দানবীর, সমাজসেবক ও কর্মী বান্ধব নেতা কাজী আব্দুস সোবহান।
জানা যায়, কাজী আব্দুস সোবহান শনিবার ও রোববার নগরকান্দা এলাকার কাইচাইল ইউনিয়ন, লস্করদিয়া ইউনিয়ন, চরযশোরদী ইউনিয়ন ও নগরকান্দা পৌর এলাকায় দলীয় লোকজন নিয়ে গণ সংযোগ করেছেন।
নগরকান্দা ও সালথার সাধারণ জনগনরা জানান, আমরা একজন সৈয়দা চৌধুরীর মতো একজন কর্মী বান্ধব সংসদ সদস্য চাই। নগরকান্দা– সালথার সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী যে অবদান রেখে গেছেন তা আমাদের অস্বীকার করার উপায় নেই। আমরা শুধু তাকেই হারাই নাই একজন প্রিয় মাকে হারিয়েছি।
এলাকাবাসিরা আরো জানান, আমাদের দুঃখ একটি নেত্রীর মতো তার সন্তান দুইজন যারা তার রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব করেছেন তারা সৈয়দা চৌধুরীর দশ ভাগের একভাগ ও পাননি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক প্রার্থীদের মধ্যে আসন্ন উপ নির্বাচনের আলোচনায় কাজী আব্দুস সোবহান জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।
আসন্ন উপ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ নিয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী মৎসজীবি লীগের আহ্বায়ক কাজী আব্দুস সোবহান জানান, আমি দীর্ঘ বছর ধরে আঃলীগ করি এবং আমি আঃলীগ পরিবারের সদস্য। দল যদি আমাকে যোগ্য মনে করে এবং মনোনয়ন দেন, আমি নির্বাচিত হয়ে এলাকার জনগনের পাশে সার্বিকক্ষন সেবা দিয়ে যাবো। আমি মাননীয় জননেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর নগরকান্দা ও সালথা নির্বাচনী (আসন-২) এর সংসদ সদস্য, সংসদ উপনেতা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কিংবদন্তী রাজনৈতিক নেত্রী, আঃলীগের দুর্দিনের কান্ডারী, একাধিক বার দলের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে দলের প্রেসিডিয়ামের সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তিনি গত ১১ ই সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন। তারপরে নগরকান্দা–সালথা (ফরিদপুর -২) আসনটি শুন্য ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: