আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুরের প্রতিমা তৈরির কারিগরেরা। খড়, কাঠ, সুতা আর মাটি দিয়ে নিপুণ হাতে তৈরি করছেন দূর্গাসহ নানা প্রতিমা। পূজা যতই ঘনিয়ে আসছে শিল্পীদের ব্যস্ততা ততটাই বাড়ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেউ কাঁদা তৈরি করছেন, কেউ কাঁদা থেকে হাত-পা বানাচ্ছেন। মাটির মূল কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছেন শিল্পীরা। এরপর রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমা পাবে দৃষ্টিনন্দন রূপ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, তাদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। আগামি পহেলা অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে এবারের দূর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সে হিসেবে ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এবাবের দুর্গোৎসব। এবছর দেবী দুর্গা আসছেন হাতি চড়ে যাবেন নৌকায় চড়ে। দেবীর আগমনে বিশ্ব হবে শান্তিময়, অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে উদয় হবে শুভ শক্তির এমনটাই প্রত্যাশা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।
প্রতিমা কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা গেলো
দ্রব্য মূল্যের সাথে তাল মিলিয়ে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রং, তুলি ও সাজসজ্জার দাম বেশি হওয়ায় এবং প্রতিমা তৈরির মজুরি কম পাওয়ায় কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে শিল্পীদের।
দশভূজা বাড়ি মন্দিরের প্রতিমা তৈরির কারিগর বকুল পাল বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবত প্রতিমা তৈরি করে আসছি। প্রতিমা তৈরির সরঞ্জাম যেমন খড়, সুতলী, পেরেক, বাঁশ ও কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে খরচ বেড়েছে। প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে ৪-৫ হাজার টাকা। এবার ৭টি টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছি। ২২হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকায় প্রতিমা তৈরি করছি। তবে যে হারে পরিশ্রম সেই হারে পরিশ্রমের তুলনায় দাম অনেক কম।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি এডভোকেট মানেশ চন্দ্র সাহা বলেন, দুর্গাপুর উপজেলায় এ বছর ৬১টি পূজা হবে। সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে বলে আমাদের জানিয়েছে। আশা করি সুষ্ঠ ভাবে দূর্গাপূজা আমরা শুরু থেকে শেষ করতে পারবো।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান বলেন, শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে দুর্গাপুরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। প্রত্যেকটা পূ্জা মন্ডপে সরকারি বিধি মোতাবেক পুজা সম্পন্ন্যের জন্য নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রশাসনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার যেন কোন অবনতি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকলের সহযোগিতা পেলে আশা করছি শারদীয় পুজা ভালো ভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: