ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সৌদিআরব প্রবাসীর কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে না পেয়ে তার উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় আহত হয়ে হাবিব লস্কর চরভদ্রাসন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় আহত হাবিব লস্করের ভাই হায়দার লস্কর বাদী হয়ে ফরিদপুরের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে, মামলা তুলে নিতে আসামীরা প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চরভদ্রাসন উপজেলার লোহারটেক নিবাসী সামচুদ্দিন লস্করের পুত্র হাবিব লস্কর দীর্ঘদিন ধরে সৌদিআরবে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে আসেন। সৌদিআরবে থাকার সুবাদে তিনি বেশ কিছু টাকা আয় করেন। দেশে আসার পর একটি চক্র হাবিব লস্করের পেছনে লাগে। স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে। চক্রটি ৫ লাখ টাকা না দিলে তার ক্ষতি করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন হাবিব লস্কর। সন্ত্রাসীদের হুমকির কারনে তিনি বাড়ী থেকে তেমন একটা বের হতেন না। গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হাবিব বাড়ী থেকে বের হয়ে বিএস ডাঙ্গীর নজুর দোকানের সামনে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে ঘিরে ধরে। এসময় তারা ৫ লাখ টাকা দ্রুত দেবার কথা বলে। হাবিব টাকা দেবার কথা অস্বীকার করলে তার উপর দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, ছ্যান, রামদা, লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। হাবিব লস্করকে রাস্তায় ফেলে গলা চেপে ধরা হয়। কয়েকজন লাঠি দিয়ে বেদমভাবে প্রহার করে। এক পর্যায়ে হাবিবের ভাই হায়দার লস্কর ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও বেদমভাবে পেটানো হয়। দুই ভাইয়ের চিৎকারে এসময় রাস্তার আশে পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। হামলায় মারাত্বক আহত হাবিবকে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার পর হামলাকারীরা বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে বলে মামলা করলে গ্রামছাড়া করা হবে। এছাড়া এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করারও হুমকি দেয়া হয়। এ নিয়ে চরভদ্রাসন থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। পরে বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৮নং আমলী আদালতে একটি মামলা করা হয়। মামলায় শেখ মনির, শেখ কামরুল, রাজু সিকদার, শওকত, শামিম প্রামানিক, শেখ মঞ্জুসহ আরো অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামী করা হয়।
মামলার বাদী হায়দার লস্কর জানান, মামলার পর থেকেই আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে হামলাকারীরা। তারা আমাদের খুন করার হুমকি দিয়েছে। এ নিয়ে আমি ও আমার ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: