পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ওসি খোন্দকার মোঃ আবুল খায়ের এর যোগদানের পর থেকে থানা এলাকায় কমেছে চুরি, ছিনতাই, জুয়া মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং সহ অপরাধ মুলক কর্মকান্ড। সেই সাথে বেড়েছে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা।
মহিপুর থানায় যোগদানের পরেই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন ওসি আবুল খায়ের। এর পর থেকেই বিভিন্ন মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে।
থানা পুলিশের মাদক বিরোধী এবং পর্যটন কেন্দ্রে প্রকাশ্যে পতিতাবৃত্তিতে বাধাগ্রস্থ করা অভিযানকে থামিয়ে দিতে কৌশল অবলম্বন করে অপরাধীরা।ওসির কার্যক্রম কে বাধাগ্রস্ত করতে নানা অপ-প্রচার চালাতে থাকে বিশেষ একটি কুচক্রী মহল।
ওসি খোন্দকার মোঃ আবুল খায়ের মহিপুর থানায় যোগদানের পর থেকে নিজ যোগ্যতা আর দক্ষতার বলে থানার সচেতন ও সাধারণ এলাকাবাসীর মন জয় করেছেন।সেই সাথে একজন সফল ওসি হিসেবে যত গুণাবলী প্রয়োজন তা তিনি দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। দাগী অপরাধীদের অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের লাগাম টেনে ধরেছে তাঁর নেতৃত্বে মহিপুর থানা পুলিশ।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে থানার বেশীর ভাগ পুলিশ সদস্যরা অপরাধীদের কঠোর হাতে দমন করছেন।
থানা এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে থানা পুলিশের টহল থাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড অনেকটাই কমেছে বলে জানান এলাকাবাসীরা। আগে অলিতে গলিতে বিভিন্ন অপরাধীরা হরহামেশাই অপরাধে লিপ্ত থাকায় অতিষ্ঠ ছিলো এলাকাবাসী। যেসব এলাকায় অপরাধীদের আড্ডা ছিলো সেসব এলাকার অপরাধীদের আখড়ায় ওসি খোন্দকার মোঃ আবুল খায়ের নিজেই অভিযান করেছেন। এলাকাবাসী বলেন, আগের তুলনায় মহিপুর এবং পর্যটননগরী কুয়াকাটা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। থানা পুলিশের টহল বৃদ্ধি করায় অপরাধীদের আনাগোনা কমেছে। প্রতিদিন যদি নিয়মিত থানা পুলিশের তৎপরতা থাকে তাহলে অপরাধীরা অপরাধ কর্মকান্ড করতে সুযোগ পাবেনা বলে জানান সাধারণ জনগণ।
মহিপুর থানায় ওসি হিসেবে খোন্দকার মোঃ আবুল খায়ের ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে যোগদানের পর থেকে থানা এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভুমিদস্যুতা সহ সকল অপরাধ কমে এসেছে। থানা এলাকায় চুরি, ডাকাতিসহ ছিনতাইয়ের মত অপরাধ তার কঠোর হস্তক্ষেপে সহনশীল পর্যায় রয়েছে। বিভিন্ন অপকর্মে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় এলাকাবাসী ওসি আবুল খায়েরের প্রশংসা করছেন। তবে এক শ্রেনীর লোকজন অপকর্ম করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খোন্দকার মো: আবুল খায়ের বলেন,মহিপুর থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতিমধ্যে অনেক অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। থানা পুলিশ এলাকাবাসীকে সেবা প্রদান করার জন্য সব সময় প্রস্তুত। মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের ধরতে এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পুলিশ অভিযান করছে। এসময় তিনি বলেন মহিপুরে যতদিন আছি ততদিন অপরাধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করছি। অপরাধী যত বড় প্রভাবশালী হউক অপরাধ করলে ছাড় নাই। মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে আমি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় যখন যা বলবেন তখন তা করার জন্য আমি প্রস্তুত আছি।
তিনি আরও বলেন, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য মহিপুর থানা বাসিদের প্রতি আহবান থাকবে। পুলিশকে যদি অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয় তাহলে পুলিশ এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবে। তাহলে এ দেশ একদিন অপরাধ মুক্ত দেশে রুপান্তরিত হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: