অতিমাত্রায় লোডশেডিং: অতিষ্ঠ দীঘিনালার জনজীবন

মো. মহাসিন মিয়া, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৫৮

সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় সর্বত্রই লোডশেডিং মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কোনো কোনো এলাকায় দিনে গড়ে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা চলে লোডশেডিং। এছাড়া আকাশে মেঘ অথবা বিদ্যুৎ চমকালেই লোডশেডিং শুরু হয়ে যায়। অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণে উপজেলাবাসীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা লোডশেডিংয়ের কারণ জানতে চাইলে উপজেলা বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের মুখস্থ উত্তর জাতীয় গ্রিডে সমস্যা, না হয় তারের ওপর গাছ পড়ে তার ছিড়ে গেছে অথবা লাইনে ফল্ট করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, বর্তমানে কোনো রকমের ঝড় বৃষ্টি ছাড়াই ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা। উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন সকাল, দুপুর, বিকেলের পরে বিদ্যুৎ চলে যায়, আসে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পরে। আবার সন্ধ্যার দিকে গিয়ে বিদ্যুৎ আসে রাত দশটার পরে। আবার মাঝেমধ্যে রাত ১১ টার পরেও দেয়া হয় লোডশেডিং। এভাবে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার কারণে কম্পিউটার, ফ্রিজ, টিভি সহ বিদ্যুতায়িত মেশিন ও যন্ত্রপাতি দিয়ে সুষ্ঠুভাবে কোনো কাজ করা যায়না। বার বার লোডশেডিংয়ের কারণে নিত্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় ও ব্যবহৃত পানিও তুলতে পারছিনা। এছাড়াও আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর মাস থেকে ছেলে-মেয়েদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণে লেখাপড়ায় বিরাট ক্ষতি হচ্ছে তাদের।

উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ জানান, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। অতিরিক্ত গরমে শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ক্লাসে আসেনা। যারা আসে তারাও ঠিকমতো পড়ায় মনোযোগ দিতে পারেনা। এরকম চলতে থাকলে ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্ট খারাপ হবে। প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সময়ে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার দাবি জানান তারা।

দীঘিনালা বিদ্যুৎ আবাসিক প্রকৌশলী সন্তুষ চাকমা বলেন, উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তাছাড়া জেলা বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশে আমাদের লাইন বন্ধ রাখতে হয়। যেকারণে অতিমাত্রায় লোডশেডিং বেড়ে যায় । এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর