ছুরি ঠেকিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে এক শিক্ষার্থীকে সংঘবন্ধ ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে একদল দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর মেয়েটিকে রাস্তায় পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ত্রিপল নাইনে কল করলে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আইশৃংখলা বাহিনী।
মেয়েটির বাবা ও ভাই জেলে। কারাগারে দেখতে আসছিলেন তাদের। আসার সময় রাস্তা থেকে অপহরণ করে গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে ও চোখ বেধে পাচঁ-ছয়জন মিলে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের এক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে। বর্তমানে ওই ছাত্রী ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেলছাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে জেলা শহরের আসার উদ্যেশে রওনা হন নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মোড় থেকে একটি থ্রি-হুইলার যোগে রওনা হলে তার পাশে চেঁপে বসেন কয়েক দুর্বৃত্ত।
চলন্ত যানবাহনে মেয়েটিকে ছুরি ঠেকিয়ে শহর ঘুরে নিয়ে যাওয়া হয় নির্জন জায়গায়। পরে সেখানে শারিরিক নির্যানের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। ধর্ষণ শেষে জেলা সদরের ওরাউপাড়া এলাকার ইক্ষু খামারের একটি রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে পড়ে থাকতে দেখে ত্রিপল নাইনে কল করে। পরবর্তিতে আইনশৃংখলা বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে রক্তাত্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাসপাতালে মেয়েটির সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাড়ি হতে বালিয়াডাঙ্গী পাগলু স্ট্যান্ড থেকে একটি পাগলুতে উঠে শহরে বাবা ভাইকে দেখতে আসার সময় বালিয়াডাঙ্গীর বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বেলসাড়া গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে বাবুল, ঘগার ছেলে তালেব, নেওঘাটির ছেলে আসলামসহ অপরিচিত আরও তিনজনসহ মোট ছয়জন আমার গলায় ছুড়ি ধরে। পরে মাথায় আঘাত করলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফিরলে দেখি একটি ঘরে ৬ জন আমাকে ঘিরে ধরে আছে। তারা আমার উপর নির্যাতন করলে আবার অজ্ঞান হয়ে যাই। তারপরে জ্ঞান ফিরলে দেখি আমার অবস্থান ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে।
মেয়েটিকে রক্তাত্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরিক্ষার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান, ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ রকিবুল আলম।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কাজ করছে পুলিশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: