পাবনার সুজানগর উপজেলার তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের ভবানীপুরে সাবেক পুলিশ সদস্য ও তার ভাই হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল মানববন্ধন ও কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসুচী পালন করা হয়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঘন্টাব্যাপী তীব্র রোদ আর ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে ভবানীপুরে নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির সামনে আঞ্চলিক সড়কে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিক্ষোভকারীরা। এর আগে একটি ঝাড়ু মিছিল বের হয়ে স্থানীয় সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধন চলাকালে নিহত জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী জলি পারভীন, ছেলে জুবায়ের খন্দকার, গ্রামবাসী ও স্বজন মোস্তাক আহমেদ, হাফিজ খন্দকার, আতিকুর রহমান, মমেনা খাতুন, নাজমা খাতুনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
গ্রামবাসী ও পরিবারের অভিযোগ, হত্যার ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করলেও বেশকিছু আসামী এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। জোড়া হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবী জানান তারা।
নিহতের স্ত্রী জলি খন্দকার ও ছেলে জুবায়ের খন্দকার বলেন, হত্যাকারীরা দীর্ঘদিন ধরে নিহত জাহাঙ্গীর আলমের কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিল। চাঁদাবাজি ছাড়াও এলাকায় সন্ত্রাসী, জুয়া ও মাদক ছড়ানো কর্মকান্ডে জড়িত। হত্যাকারীদের ভয়ে কেউ তাদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে সাহস পেত না। নিহত সাবেক পুলিশ সদস্য তাদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় তাদের দুই ভাইকে হত্যা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট সকালে সন্ত্রাসীরা জাহাঙ্গীর আলমকে প্রকাশ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার ভাই মতিউর রহমান এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ আগস্ট তিনি মারা যান। নিহতের পুত্র জুবায়ের খন্দকার বাদী হয়ে ২২ জন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহতের ছেলে জুবায়ের খন্দকার জানান, মামলা দায়েরর পর আসামীরা তাদের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমনকি মামলা তুলে না নিলে আরও লাশ ফেলার হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান এলাকাবাসীর কর্মসূচি সম্পর্কে জানেন উল্লেখ করে বলেন, মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামী ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসেনি। মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: