ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি ছিনতাই করা আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মাইক্রো কার, ডিবি পুলিশের পোশাকসহ পুলিশের কাজে ব্যবহ্নিত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি।
শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দহাকালা গ্রামের মাসুদ করিম (৪৭), একই উপজেলার পাঙ্গাসী মধ্যপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (৩২), বড় পাঙ্গাসী প্রামানিকপাড়া গ্রামের মাসুদ রানা (২৯), বড় পাঙ্গাসী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম (৩৩), শাহজাদপুর উপজেলার চর আঙ্গারু গ্রামের শরিফুল ইসলাম (৩৮) ও ভোলার দুলারহাট গ্রামের আলমগীর হোসেন ওরফে ড্রাইভার হোসেন (৩৫)। তিনদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে পাবনার বেড়া উপজেলার জনতা ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ৮ লাখ টাকা তুলে নিয়ে ভ্যানযোগে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আমিনপুর থানাধীন নান্দিয়ারা গ্রামে কবরস্থানের পাশে পৌঁছামাত্র একটি সাদা মাইক্রোবাস ভ্যানের গতিরোধ করে। পরে মাইক্রোবাসের ভিতর থেকে বের হয়ে আসা কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ৮ লাখ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
পরে ভূক্তভোগী শরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে আমিনপুর থানায় মামলা দায়ের করলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিম গত তিনদিন ভোলা জেলার চরফ্যাসন, গাজীপুর এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ভুয়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে করে। তাদের বিরুদ্ধে অপহরন, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন থানায় ১৯টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মাসুদ করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক সহ ১০টি, আরিফের বিরুদ্ধে অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র, মাদকসহ ৮টি, আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফের বিরুদ্ধে অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক সহ মোট ৬টি ও আলমগীর হোসেন ওরফে ড্রাইভার হোসেনের বিরুদ্ধে ছিনতাই, মাদকসহ ৪টি মামলা রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: