জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে কৃষক মিলন মিয়া (৩৫) এর (৩৩ শতাংশ) জমির করলা ও বেগুন গাছ কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা।
৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ভোররাতে উপজেলার দেউলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কৃষক মিলন মিয়া'র নিজস্ব কোনো জমি নেই। তিনি অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষবাদ করেন। এবারও চলতি মৌসুমে তিনি তার বর্গা নেয়া (৩৩ শতাংশ) জমির উপর করলা ও বেগুন চাষ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে তার রোপনকৃত ওই (৩৩ শতাংশ) জমির সমস্ত করলা ও বেগুন গাছ কর্তন করেছেন দূর্বৃত্তরা।
সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতাও মিলেছে।
স্থানীয়রা বলেন, মিলন মিয়া একজন সৎ গরীব কৃষক। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে (৩৩ শতাংশ) জমিতে সে করলা ও বেগুন চাষাবাদ করছে। তার রোপণকৃত জমির করলা ও বেগুন গাছ যে বা যারা কেটেছে তারা আসলে একটা অমানবিক কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবি করতেছি।
এ বিষয়ে কৃষক মিলন মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি আজ সকালে জমি দেখার জন্য জমিতে যাই। গিয়ে দেখি আমার জমিতে রোপণকৃত সমস্ত করলা ও বেগুন গাছ কে বা কাহারা কেটে দিয়েছে। আমি অন্যের জমি বর্গা নিয়ে খুব কষ্ট করে চাষাবাদ করি। আমার দুই মেয়ে, বড় মেয়ে আমাকে ফসল রোপণের সময় সহযোগিতা করেছে। জমির ফসল কেটে ফেলাতে মেয়েটি খুব কষ্ট পেয়েছে এখন শুধু কান্না করতেছে। আমার এমন ক্ষতিতে আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেছি। এই ফসল কর্তনে আমার প্রায় ৮০ -৯০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। যদি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাকে একটু আর্থিক সহযোগিতা করতেন তাহলে হয়তো আমি উপকৃত হতাম।
এবিষয়ে স্থানীয় বড়াইল ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কেরামত আলী বলেন, আমার দেখাতে কৃষক মিলন মিয়া একজন সৎ গরীব কৃষক। সে দিনরাত পরিশ্রম করে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে। তার জমির ফসল কে বা কাহারা কেটেছে কেউ দেখতে পাইনি তবে যে বা যাহারা এই কাজটি করুক, কাজটা করা মোটেও উচিৎ হয়নি। আমি একজন সাবেক জনপ্রতিনিধি হিসেবে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, রাতের আঁধারে দূর্বৃত্তরা ফসল কেটে একটা অমানবিক কাজ করেছেন।
এই ধরনের কাজ সত্যিই খুব জঘন্য ও ঘৃণিত। আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ঐ ভুক্তভোগী কৃষক মিলন মিয়াকে সার্বিক সহযোগিতা করবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: