ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরার জন্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে আরো এগিয়ে যাবার জন্য এসআইএল ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর পরিকল্পনায় ও অর্থায়নে এবং হাজং আদিবাসী ছাত্র সংগঠনের সহযোগিতায় যুবদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমির অডিটোরিয়ামের ইয়ুথ এ্যাম্বাস্যাডর ফর চেঞ্জ (ওয়াইএসি) নামক প্রকল্পের আওতায় এ যুব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘পরিবর্তনকারী হও’।
সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল- ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যুব সম্প্রদায়কে একত্রিত হতে সহায়তাকরণ। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যুব সম্প্রদায়ের নিজস্ব একটি জাতীয় প্লাটফরম তৈরীকরণ। সামাজিক ইস্যুগুলো আলোচনা, মৌলিক অধিকার আদায় ও বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ধারণায় যুবকদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা এবং সুশীল সমাজের বিভিন্ন দলগুলোকে সংযুক্তকরণ। সামাজিক ইতিবাচক পরিবর্তন আনায়নে সাংস্কৃতিক গর্ব, আত্ন-মর্যাদা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার মনোভাব তৈরী। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, মানবীয় অধিকার এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণে যুবকদেরকে উৎসাহিত করা।
বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত ও শপথ বাক্য পাঠ করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসআইএল ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের এ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর-প্রোগ্রামমি. এলবার্ট পিন্টু পিরিছ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমির সহকারী পরিচালক উওম কুমার রিছিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং, লেখক ও গবেষক,স্বপন হাজং, এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট লিডার শান্তা মারীয়া ডি’কস্তা, হাজং যুবনেতা অন্তর হাজং সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
সাতটি প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে শান্তা মারীয়া ডি’কস্তা যুবক-যুবনারীদের যুব সম্মেলনের উদ্দ্যেশ তুলে ধরেন এবং বলেন যুবা বন্ধুগণ যেন নিজেদের ও সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন আনায়নে প্রত্যেকে পরিবর্তনের দূত হয়ে প্রত্যেকে এক একজন সমাজ পরিবর্তনকারী হয়ে উঠতে পারে। এর লক্ষ্য হিসেবে তিনি বলেন, একটি পুকুরে ছোট ঢিল ছুড়েঁ দিলে তা যেমন পুরো পুকুরকে আলোড়িত করে ঠিক তেমনি আমাদের প্রত্যেকের গৃহীত ছোট একটি পদক্ষেপ আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে, সমাজে, দেশে তথা বিশ্বে অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
দিনের শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা নিজ ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা, সংরক্ষণ ও বৈচিত্র তা ধরে রাখার আহবান জানান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিশেনের মধ্য দিয়ে এ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
এসআইএল ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ একটি অলাভজনক আর্ন্তজাতিক সংস্থা। ২০০০ সাল থেকে সংস্থাটি বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: