নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি হুমায়ুন কবিরকে (৪৫) রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্যে মারধরের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে ওই মামলাটি দায়ের করেন। পরে সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৫ নম্বর আসামি মো. ফাহাদকে (৩৪) গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার ফাহাদ চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর এলাকার মো. খোরশেদ আলমের ছেলে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারেও পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হুমায়ুন বাড়ি নির্মাণ কাজের জন্য চৌমুহনী বাজারের ডিবি রোডে রড কিনতে গেলে মনির মুহুরীর নেতৃত্বে যুবলীগ নামধারী অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসী ফাহাদ, শাহাদাত, রায়হান ও সোহান সহ ১০-১২ জন তাকে পিটিয়ে মাথায় আঘাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা (হুমায়ুন করিব) বাড়ি নির্মাণ কাজ করতে গেলে হামলাকারীরা তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে বলে জানান। গুরুত্বর অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এরা সবাই দেলোয়ার বাহিনীর সদস্য বলেও তারা অভিযোগ করেন।
জেলা যুবলীগের আহবায়ক ইমন ভট্ট বলেন, হুমায়ুন কবির দলের দুঃসময়ে চৌমুহনী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলো। জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ছিলো। বিরোধী দলের আমলে রাজনীতি করেছে। বিএনপির আমলেও নির্যাতিত হয়েছে, দুঃখ্যজনক হলো ক্ষমতার আমলে বারে বারে সে নির্যাতিত হচ্ছে। এখন আমাদের জেলা পর্যায়ের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আছেন, এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগের স্থানীয় নেতারা আছেন, ওনারা নিশ্চয়ই একটা ব্যবস্থা নেবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: