মোংলা বন্দরের ইনারবারে চলমান ড্রেজিং প্রকল্পে বাঁধার সৃষ্টি করা ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার ও ড্রেজিং চালু রাখার দাবীতে মোংলায় বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছেন বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীরা।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোংলা বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘ চত্বর থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল পৌরসভার সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। মোংলা বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখের সংঘের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক সেন্টু, মোঃ বেলাল হোসেন, আব্দুল হাকিম সরদার, মোংলা পোর্ট ঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মোস্তফা কামাল, মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝিমাল্লা ইউনিয়নের নেতা রেজাউল করিম নান্নু, জাহাঙ্গীর সরদার, মকবুল হোসেন, শাহ আলম, লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নে নেতা মোঃ মাইনুল ইসলাম মিন্টুসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে কয়েক হাজার শ্রমিক-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, কতিপয় ব্যক্তি পরিবেশের কথা বলে বন্দরের ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্পের চলমান কাজ বাঁধাগ্রস্থ করার ষড়যন্ত্র করছেন। এ চক্রটি এর আগেও রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মোংলা বন্দরকে অচল করে দেয়ার অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে গ্রেফতারের দাবী জানান বক্তারা। বক্তারা আরো বলেন, মোংলা বন্দর যখন উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে ঠিক তখন এ চক্রটি ড্রেজিং নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। কারণ এ বন্দর ব্যবহার করছেন ভারত, ভুটান ও নেপাল। তাই চলমান এ ড্রেজিং কার্যক্রম ব্যাহত হলে মোংলা বন্দর, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রেললাইন, ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চল অচল হয়ে পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তারা। তারা আরো বলেন, এ চক্রটি বহিরাগত লোকজন নিয়ে বানীশান্তায় বন্দর কর্তৃপক্ষের হুকুম দখলকৃত জমিতে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার ক্ষেত্রে জমি মালিকদের ভুল বুঝিয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছেন।
বানীশান্তার ৩০০ একর জমির মালিকদের ১০ বছরের ক্ষতিপূরণ বাবদ সাড়ে ৭ কোটি টাকা ইতিমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করেছেন। দুই একদিনের মধ্যে জমির মালিকদেরকে সেই ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদাণের কার্যক্রম শুরু করার কথাও জানিয়েছেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: