বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বারইখালী এলাকায় মোঃ রুহুল আমিন খান নামের এক ব্যবসায়ীর জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। জমি দখলের জন্য ওই ব্যবসায়ীকে হয়রানি, সীমানা পিলার ও গাছ উপড়ে ফেলাসহ নানা ষড়যন্ত্র করছেন স্থানীয় নূর মোহাম্মাদ শেখ নুহু নামের এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী মোঃ রুহুল আমিন খান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১১ সালে ডা. লুৎফুর কবিরের কাছ থেকে কচুয়া উপজেলার ৬৪ নং রাড়িপাড়া মৌজার বারইখালী গ্রামে এসএ ৭১৯ খতিয়ানে ২৪০ দাগে সর্বমোট ৫ একর জমি ক্রয় করি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় আরও তিনজনের কাছ থেকে প্রায় দুই একর জমি ক্রয় করি। এরপর থেকে সকল জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে বারইখালী গ্রামের নূর মোহাম্মাদ শেখ নুহু আমার জমির মধ্যে অন্যায়ভাবে ১০ শতক জমি দাবি করেন। জমির মালিকানার কাগজ হিসেবে অনুপ মুখার্জী নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় ক্রয়কৃত একটি দলিল বিভিন্ন স্থানে দেখিয়েছেন। কিন্তু ওই দলিলে উল্লেখিত জমির মূল মালিক অনুপ মুখার্জীর বাবা গৌর হরি মুখার্জী অনেক আগেই ওই দশ শতক জমি মৌখিকভাবে বারইখালী ফুটবলমাঠে দান করে গেছেন। মাঠের শুরু থেকেই ওই দশ শতক জমি মাঠের মধ্যে রয়েছে। নূর মোহাম্মাদ শেখ নুহু ওই জমিতে যেতে না পেরে, কাটাতার দিয়ে ঘেরা আমার মালিকানাধীন জমির মধ্য থেকে ১০ শতক জমি দখলের পায়তারা চালায়। পরবর্তিতে জোরপূর্বক আমার প্রায় ৩০ শতক জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। জমির পিলার উঠিয়ে ফেলা, জমিতে লাগানো গাছ উপড়ে ফেলা, কাটাতার চুরি করা, কেয়ারটেকারদের গালিগালাজ ও মারধরকরাসহ সব ধরণের চেষ্টা সে চালায়। এসব চেষ্টায় সফল হতে না পেরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার, ডিবি, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়।
রুহুল আমিন খান আরও বলেন, নুহুর অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকবার শালীস মীমাংসাও হয়েছে। তখন শালীসগণের নির্দেশ মোতাবেক আমিনের মাধ্যমে উভয় পক্ষের জমি মাপা হয়। শেখ নুহু ও আমি উভয়ই নিজ নিজ জমি বুঝে নেই। সবার সামনে নিজের জমি বুঝে নিলেও, পরবর্তিতে নূর শেখ ও তার ছেলে সাইফুল শেখ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ওই শালীসের পরেও নূর মোহাম্মাদ শেখ নুহু ও তার ছেলে সাইফুল কয়েকবার আমার জমির গাছ কেটে ফেলেছে। জমির কেয়ারটেকারদের মারধরও করেছে। আমি ঢাকায় থাকা অবস্থায় আমার জমির পিলার উঠিয়ে ফেলে। জমির কাছে গেলে আমাকে মেরে ফেলারও হুমকী দিচ্ছে। এই নুহুর পিছনে এলাকার বেশকিছু চাঁদাবাজ ও প্রতারক শ্রেণির লোক রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি নুহু ও তার পিছনের ইন্ধনদাতাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: