শেরপুরে সম্মানিত ব্যাক্তি ও স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে (এলজিইডি'র) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান কর্তৃক কুরুচিপূর্ণ, বানোয়াট ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
২৪ আগস্ট (বুধবার) দুপুর ১২ ঘটিকার সময় শেরপুর জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ "নিসর্গে" এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার ঠিকাদার বৃন্দরা।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সম্মুখে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন, বিশিষ্ট ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী মো.সেলিম তরফদার সুজন।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মোস্তাফিজুর রহমান সব সময় নানা অপকর্ম, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতা সহ তার বিভিন্ন অপ-কর্মের বিরুদ্ধে ২২ আগস্ট (সোমবার) একটি বিশাল মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সম্পূর্ন সঠিক ও নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ঠিকাদাররা নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে মাঠে নেমেছেন।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, মঙ্গলবার বিকালে প্রকৌশলী মো.মোস্তাফিজুর রহমান সরকারি চাকুরী বিধি লঙ্ঘন করে তার অফিস কক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি যে স্বেচ্ছাচারী সেই সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পড়লেই আপনারা তার প্রমাণ পাবেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি সম্মানিত ব্যক্তি, বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর মিথ্যা, কুরূচিপূর্ণ, অত্যন্ত নোংরা ও জঘন্যতম কথা-বার্তা বলেছেন। নির্বাহী প্রকৌশলীর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারের দায়িত্ব পালনকালীন তিনি কোনভাবেই এসব কথা বলতে পারেন না। তার লিখিত বক্তব্য পড়লেই আপনারা তা বুঝতে পারবেন।
তিনি বেপরোয়া হয়ে গেছেন এবং এখনও তিনি তার (নির্বাহী প্রকৌশলীর লিখিত বক্তব্যে বলেন,
দীর্ঘ ১৪-১৫ বছর আগে থেকে জোর করে স্পেসিফিকেশন বহির্ভূত কাজ করা হচ্ছে এবং পিস্তল ঠেকিয়ে অপহরণ চেষ্টাও করা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে- তিনি এসব তথ্য কোথায় পেলেন? গত ১৪-১৫ বছরে কমপক্ষে ৫-৭ জন নির্বাহী প্রকৌশলী শেরপুরে এসেছেন। তারা কোনদিনও এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেননি। শুধু তাই নয় যদি কেউ পিস্তল ঠেকিয়ে কাউকে উঠিয়ে নিয়ে যেত বা চেষ্টা করতো সাংবাদিক ভাইয়েরা তা অবশ্যই জানতো এবং প্রতিবেদন হতো। কিন্তু এ ধরনের কোন পতিবেদন পত্রিকা কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসেনি। তাই নির্বাহী প্রকৌশলী তার অপকর্ম ঢাকতে মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া সব অভিযোগ করেছেন। যা আইনত মানহানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এসময় উপস্থিত থেকে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ঠিকাদার আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব,চেয়ারম্যান ১নং কামারের চর ইউনিয়ন পরিষদ, মো. জিয়াউল হক, মো.গোলাম কিবরিয়া তাঁরা, মো.ইব্রাহীম খলিল মেহেদী প্রমুখ।
এ সময় শেরপুর জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: