"কৃষি বাঁচাও, কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও" শ্লোগানে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাণীশান্তা ইউনিয়ন কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে সোমবার (২২ আগষ্ট) সকালে কৃষিজমি রক্ষার দাবীতে বাণীশান্তা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় উঠানবৈঠক ও কৃষকদের চলমান আমন ধান রোপণে সংহতি কর্মসুচি পালন করা হয়।
সোমবার সকাল ১১টায় বাণীশান্তা-ভোজনখালি বিলে ধান রোপণ সংহতি কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন বাপা নেতা ও কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সংগঠক কৃষ্ণপদ মন্ডল।
কর্মসুচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রিয় নেতা সাংবাদিক মো. নূর আলম শেখ। ধান রোপণ কর্মসুচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণীশান্তা ইউনিয়ন কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা সত্যজিৎ গাইন, হিরন্ময় রায়, মনোজিত কুমার দেব, সঞ্জিব মন্ডল, কৃষাণী ইউপি সদস্য পাপিয়া মিস্ত্রি, ইউপি সদস্য জয় কুমার মানিক, বাপা নেতা হাছিব সরদার, কৃষাণী বৈশাখী মন্ডল প্রমূখ।
ধান রোপন কর্মসুচি চলাকালে বক্তারা বলেন জান দেবো তবু কৃষিজমিতে পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালু ফেলতে দেবো না। বালু ফেলার বহু বিকল্প থাকা সত্ত্বেও মোংলা বন্দরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার টার্গেট হচ্ছে বাণীশান্তার তিনশো একর তিনফসলি কৃষিজমি যা দুঃখজনক। যেকোন মূল্যে কৃষিজমি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বাণীশান্তার কৃষকরা প্রতিহত করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার কৃষিজমি রক্ষার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও পশুর নদী ড্রেজিংয়ের প্রকল্পের সাথে যুক্ত কতিপয় কর্মকর্তা তা উপেক্ষা করছে। বক্তারা বাণীশান্তার তিনশো একর তিনফসলি কৃষিজমিকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ড্রেজিং প্রকল্পে অনাবাদি এবং ডোবা হিসেবে উল্ল্যেখ’র মাধ্যমে বার বার মিথ্যাচার করছে। বক্তব্যের শেষে বাপা ও কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ আমন ধান রোপণের ভরা মৌসুমের চলমান কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করে কৃষকদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন।
ধান রোপন শেষে নেতৃবৃন্দ কৃষিজমি রক্ষার চলমান আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে বাণীশান্তা গ্রামে বাপা আয়োজিত উঠানবৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। উঠানবৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ইউপি সদস্য কৃষকনেত্রী পাপিয়া মিস্ত্রি। উঠানবৈঠকে বক্তারা কৃষিজমি রক্ষার চলমান আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ এবং নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পরিচালনা করার আহ্বান জানান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: