পাবনার চাটমোহরে পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রনি (৩২) ও তার বড় ভাই আব্দুর রশিদ বুলবুল (৪২) আহত হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা ও রাত আটটার দিকে আলাদা হামলার ঘটনায় তারা আহত হন।
আহত দুই ভাই উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের অমৃতকুন্ডা রেলবাজার গ্রামের ডা. গোলাম রহমানের ছেলে। তাদের মধ্যে রনি পৌর সদরের জি রহমান এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী এবং বুলবুল প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী। এ ঘটনার পর শুক্রবার দুপুরে থানায় দু’টি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মথুরাপুর এলাকায় সুমনের চা স্টলে বসে চা পান করছিলেন রবিউল ইসলাম রনি। এ সময় পুর্ববিরোধের জেরে অমৃতকুন্ডা রেলবাজার এলাকার নুরে আলম ছোটনের নেতৃত্বে কয়েকটি মোটরসাইকেলে অন্তত ১৫ জন যুবক এসে রবিউল ইসলাম রনিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। রনি তার প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট ও মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে ছোটন ও তার বাহিনী।
পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলেও তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, রনিকে পাবনায় পাঠিয়ে বাড়ি ফেরার সময় রেলবাজার এলাকায় এস এম আলম বাবলু ও ও জামাই ফুরকান আলী বিশ্বাস নিজ বাড়ির সামনের রাস্তায় রনির বড় ভাই আব্দুর রশিদ বুলবুল কে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি ও উস্কানীমুলক কথাবার্তা শুরু করে। তাদের এসব কথাবার্তার প্রতিবাদ করলে বুলবুলকে লাঠি দিয়ে মারপিট করে বাবলু ও তার জামাই ফুরকান। পরে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। আলাদা এ দু’টি হামলার ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে চাটমোহর থানায় দু’টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: