লোডশেডিং নেই কিন্তু হাসপাতালের প্রসুতি ওয়ার্ড ও নারী ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ নেই। প্রচন্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে রোগী৷ আর বিষয়টি স্থানীয় একজন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) কে জানালে তার স্বামী উল্টো ওই সাংবাদিককে ফোন দিয়ে হুমকি দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক শুক্রবার নিজের নিরাপত্তার জন্য ঝিকরগাছা থানায় জিডি করেছেন।
তিনি জানান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সেবা' এর সভাপতি ও সাংবাদিক হিসেবে আমি জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকি। হাসপাতালে বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যা ছিল। বিষয়টি জানতে আমি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জান্নাতুন নাহার লিমার কাছে ফোন দিই। তিনি জানান লাইনের সমস্যা আছে, মিস্ত্রী কাজ করছে।
আশরাফুজ্জামান বাবু আরো বলেন, এই ঘটনার কিছুক্ষন পরে আরএমও লিমার স্বামী পরিচয়ে সুমন নামের একজন ফোন দিয়ে আমাকে হুমকি দেন। আরএমওর কাছে যেন আর কখনো ফোন না দিই সেজন্য আমাকে শাসান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জান্নাতুন নাহার লিমার মোবাইলে কল দিলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি কোন কথা বলতে চাচ্ছিনা। এরপর তিনি মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রশিদুল আলম জানান, হাসপাতালের বিদ্যুৎ লাইনে একটু সমস্যা হয়েছিল। হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন টেকনিশিয়ান নেই। এজন্য বাইরে থেকে মিস্ত্রী এনে ঠিক করা হয়েছে। আরএমও ডা. লিমার স্বামী কেন এই বিষয়ে সাংবাদিকের সাথে খারাপ ব্যবহার করলো এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখন ছুটিতে আছি। হাসপাতালে গিয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কাছে বিষয়টি জানবো। এই ঘটনা সিভিল সার্জন মহোদয় অবগত আছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: