নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য বাড়ায় মজুরী বৃদ্ধির দাবীতে পথে নেমেছেন পাবনার চাটমোহরে রুপার দোকানগুলোতে কর্মরত কারিগররা।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পৌর সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মজুরী বৃদ্ধির লিখিত আবেদন করেন।
লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে রুপার কারিগররা আগের মজুরী অনুযায়ী কাজ করায় জীবনযাপন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। রুপা ব্যবসায়ী মালিকগণের কাছে অনেকবার মজুরী বৃদ্ধির কথা বললেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
মির্জা মার্কেট সংলগ্ন সৈয়দ মার্কেটের রোজী শিল্প কুটিরের কারিগর রানা হোসেন বলেন, প্রায় পনেরো বছর ধরে রুপার কাজ করছি। গত দশ বছরে মালিক পক্ষ আমাদের মজুরী বৃদ্ধি করেননি। আমরা ন্যায্য মজুরীর দাবীতে পথে নামতে বাধ্য হয়েছি। জুয়েলারী মালিক সমিতিতে এ ব্যাপারে আবেদন করলে তারা আমাদের সাথে মতবিনিময় করেছে। কিছু মালিক আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। অতি সামান্য মজুরী বাড়াতে চায়। আমরা সেটা মানতে পারছি না।
বিলচলন ইউনিয়নের দোলং গ্রামের জালাল হোসেন চাটমোহর থানা বাজার এলাকার স্বপ্ন জুয়েলার্সের কারিগর। তিনি বলেন, শ্রম আইন লংঘন করে আমাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেয় মালিকরা। অথচ আমাদের ন্যায্য মজুরী দেন না। গত ১০ বছরে জিনিসপত্রের মূল্য অনেক বাড়লেও আমাদের মজুরী বাড়াননি। তাই অন্য কোন বিকল্প না থাকায় আমরা পথে নেমেছি। আমরা ন্যায্য মজুরী চাই। শ্রম আইনের বাস্তবায়ন চাই।
এ ব্যাপারে রোজী শিল্প কুটিরের স্বত্ত্বাধিকারী ও চাটমোহর জুয়েলারী সমিতির উপদেষ্টা আনিছুর রহমান জানান, কারিগররা চুক্তিতে কাজ করেন। যে যতটুকু কাজ করেন ততটুকুর মজুরী পান। কারিগররা প্রতি পিসে ১০ থেকে ৫০ টাকা মজুরী বৃদ্ধির দাবী জানালে আমরা কিছুটা বাড়ানোর কথাও বলি। কিন্তু তারা তা না মানছেন না।
চাটমোহর জুয়েলারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম কর্মকার বলেন, সোমবার রাতে কারিগরদের সাথে আলোচনায় বসে আমরা মজুরী কিছুটা বাড়াতে চাইলেও কারিগররা তা মানেননি। মঙ্গলবার তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ মহল জানান, রুপার কারিগরদের আবেদন পেয়েছি। উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাঝোতার চেষ্টা করবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: