বিধবা চাচীর বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে। এতে পরিবারটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সম্পত্তি দখল করতেই রাস্তাটি বন্ধ করেছে বলে অভিযোগ অবরুদ্ধ পরিবারটির।
৭বছর আগে স্বামী হারানো বিধবার একমাত্র চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন ভাতিজা। দুই বছর অতিবাহিত হলেও ধর্না দিয়েও বিচার পাইনি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ প্রশাসনের কাছে। এমনি অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা লেহেম্বা ইউনিয়নের চাপোড় পারবর্তীপুর গ্রামে।
সাত বছর পূর্বে স্বামী মারা যাওয়ার পর এই বিধবা মহিলার উপর নেমে আসে একেরপর এক নির্যাতন । অভাবের সংসার চালাতে খেতে হয় হিমসিম। তারপরে তিনি ছাড়া ওই পরিবারে নেই কোন লোকজন।
দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও রাস্তা বন্ধের একাধিক অভিযোগ করেও কোন সুবিচার পাইনি বিধবা মহিলা।
ভাতিজাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের স্তপ তৈরি হয়েছে তার কাছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রধান রাস্তাটিও দুই বছর ধরে বন্ধ করে রেখেছে তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ২৯ জুলাই গাছ রোপনের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিট করে ভাতিজারা বিধবা মহিলা চাচী হোসেনে আরা কে। গুরুত্বর আহত হয়ে হোসেনেআরা রাণীশংকৈল হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসা শেষে থানায় আতিক হোসেন সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। পুলিশ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে চুপচাপ রয়েছে বলে জানান তিনি।
এঘটনা ছাড়াও ২০২০ সালে বিভিন্ন প্রজাতির ১০টি গাছ জোর পূর্বক কর্তন করার অভিযোগ করে ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। সেটিও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম শালিস করে কোন সুরাহা দেননি।
নিরুপায় হয়ে তখন বিষয়টি থানায় জানালে সেটিরও কোন কাজ হয়নি। ২০২১ সালে মে মাসে আবারও ভাতিজারা সংঘবদ্ধ হয়ে বিধবা চাচিকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় পরিবারের সদস্যরা বেকায়দায় পড়েছেন।
সে প্রসঙ্গে থানায় অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি তার।
এবিষয়ে অভিযোগকারী হোসেন আরা আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, বাবু মোর কেউ নাই, চেয়ারম্যানক বিচার দেছু ওয়া দেওনিয়ালাক দ্বায়িত দেছে। পুলিশক অভিযোগ দেছু ওমা ঘটনা দেখে চুপ থাকছে। মোর বিচার কেউ করবেনি। তুমা পেপারত দেন দেশবাসি জানোক। যে গরিব লোকের বিচার নাই, টাকা ছাড়া উপায় নাই।
এ প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, মহিলাটি আইন আদালতে যেতে পারছেনা ।
বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে তাই আগামি শুক্রবার এর একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: