নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নির্মাণাধীন দশ তলা ভবনের সাত তলা থেকে পড়ে ফাহিম (১৪) নামে এক কিশোর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ফাহিম দশতলা ভবনটির সাত তলার লিফটের অংশ দিয়ে সিমেন্টসহ বিভিন্ন রাবিশ ফেলছিল। এ সময় পা ফসকে সে সাত তলা থেকে নিচে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশকে না জানিয়ে নিহতের পিতাকে আর্থিক সহায়তার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে লাশ গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় ঠিকাদারের লোকজন।
খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক নিহতের ভাড়া বাড়ীতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। পরে নিহতের পরিবার কোন অভিযোগ না করায় পুলিশ আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে বিকেলে মৃত ফাহিমের স্বজনের কাছে লাশটি হস্তান্তর করেন।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে আইয়ুব নগর ওমরপুর এলাকায় নির্মাণাধীন পার্ক টাওয়ার ভবনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফাহিম কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার তারাচু গ্রামের মো. মনিরের ছেলে। বর্তমান সে মিজমিজি পাগলা বাড়ি দুলাল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
নির্মাণাধীন দশ তলা ভবনটির মালিক সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলী আমিনুলসহ ১৮ জন। নির্মাণ কাজ করছেন ঠিকাদার মো, ইকবাল হোসনের মালিকানাধীন ইমন কন্ট্রাকশন প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়দের অভিযোগ ভবনটিতে নির্মাণ কাজ চললেও এর কোন নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ উপকরণ নাই। যার ফলে ওই কিশোর শ্রমিক পা ফসকে নীচে পড়ে মারা যায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান পিপিএম বার জানান, নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। তবে শ্রমিকের মৃত্যুতে ভবন মালিক কর্তৃপক্ষের অবহেলা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: