মোংলায় একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে জিঞ্জাসাবাধের জন্য নেয়া হয়েছে পুলিশ হেফাজতে। মন্দিরের সামনের মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শনিবারের হট্টগোল থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে এমন ধারনা পুলিশের।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার(৬ আগষ্ট) দিবাগত গভীর রাতে মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর সার্বজনীন মন্দিরে থাকা দুইটি প্রতিমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আংশিক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে মন্দির মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। ওই মন্দিরটির সামনের মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মন্দির সংশ্লিষ্ট লোকজনের সাথে খেলতে আসা শিশু কিশোরদের মধ্যে বাকবিতন্ডায় হয়ে আসছিলো কয়েকদিন ধরেই। মন্দির কমিটির লোকজন মন্দিরের সামনের মাঠে ফুটবল খেলতে নিষেধ করে এলাকার ছেলেদেরকে।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয় ছেলেরা ওই মাঠে খেলতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় মন্দির সংশ্লিষ্টরা। এনিয়ে সেখানে অনেক উচ্চবাক্য ও বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় উভয়পক্ষই একে অপরকে হুমকিধামকি দেন। পরে খেলতে আসা ছেলেরা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর গত গভীর রাতে ওই মন্দিরটিতে থাকা কালি ও গণেশ মূর্তির অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আংশিক অংশ ভাংচুর হয়েছে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পিযুষ মজুমদার বলেন, শুনেছি শনিবার বিকেলে কানাইনগর মন্দিরের সামনের মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে মন্দির কমিটি ও খেলাতে আসা ছেলেদের মাঝে ঝগড়াঝাটি হয়েছিলো। সেই কারণে কিংবা অন্য কারণেও এ প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ এলাকায় এমন ঘটনা এই প্রথম বলেও জানান তিনি।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ছিলেন মোংলা-রামপাল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবালও। ওসি মনিরুল আরো বলেন, মন্দিরের সামনের মাঠে ফুটবল খেলতে নিষেধ করলে শনিবার বিকেলে দুইপক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। খেলতে গিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়ানো তিনজনকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তারা হলেন কানাইনগর গ্রামের শহিদ চৌধুরীর ছেলে রাহাত চৌধুরী (২০), মৃত হাবিব মুন্সীর ছেলে নয়ন মল্লিক (২৪) ও জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আসিফ খান (২২) ।
প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: