কুড়িগ্রামে নদীভাঙনে বাস্তুভিটা হারাচ্ছে সাধারণ জনগণ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি | ৪ আগষ্ট ২০২২, ০৭:০৩

সংগৃহীত

ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ সবকটি নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এসব নদ-নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে থাকলেও প্লাবিত হয়েছে চরের নিম্নাঞ্চল। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে। ফলে নির্ঘুম রাত কাটছে নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।

ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুরের বানিয়াপাড়ায় গত এক সপ্তাহে ১২টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় চর যাত্রাপুর বেড়িবাঁধ ও যাত্রাপুর বাজার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালেও তারা এখনো কোনো ব্যবস্থা নেননি।

তিস্তা নদী ভাঙনের শিকার উলিপুর উপজেলার পশ্চিম বজরার রুস্তম আলী, আতাউর রহমান,  মাইদুল ইসলাম,  মমিনুল ইসলাম বলেন, এই কয়দিনে প্রায় ১০০ খানিক বাড়ি ভেঙে গেল। পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা নেয় নাই।আবাদি জমি ঘরবাড়ি নদীতে যাওয়ায় খুব বিপদে আছি। একেবারে আশ্রয়হীন।  মুচিরবাধ থেকে যদি টি বাঁধ পর্যন্ত একটি বাঁধ নির্মাণ করা যেত এবং কয়টি টি বাঁধ  দেওয়া হতো তাহলে হয়তো এই এলাকাটা টিকে থাকত। আমরা খুব দুর্বিষহ অবস্থায় আছি। 

ঐ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এনামুল হক বলেন আমার ওয়ার্ডের একটি ক্লিনিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দিরসহ  বসতভিটা, আবাদি জমি ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে। যদি এখানে একটা কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যেত বাঁধ নির্মাণ করা যেত তাহলে এই এলাকাটা রক্ষা করা যেত। এই ওয়ার্ডে প্রায় দুই আড়াই মাইল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে এখন যদি কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে বাকিটুকুও নদীগর্ভে চলে যাবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি ধীরগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। নদীভাঙন রোধে জেলার বিভিন্ন এলাকায় জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর