-2022-08-03-12-41-24.jpg)
মানিকগঞ্জের সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল হকের বিরুদ্ধে একজন নারী প্রতারণার অভিযোগ করেন। ওই নারীর দাবি, এএসপি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে অনৈতিকভাবে শারীরিক সম্পর্ক করলেও এখন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিংগাইর থানা চত্ত্বরে ওই নারী গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বিভিন্ন সময়ে ঢাকা ও তার কার্যালয়ের উপরের তলার বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
ওই নারীর অভিযোগ করে বলেন, ‘রবিবার মধ্যরাতে আমি ওর মোবাইল কল দেই। ও কথা শুরু করতেই ওর বউ ওর কাছ থেকে ফোনটি নিয়ে যায় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে আমার রাগ হয়। এ কারণে সোমবার সকাল ১০টায় দিকে আমি পর বাসায় যাই। আমাকে কেন এড়িয়ে চলছে আমি ওর কাছে জানতে চাই। ওর বউ আমাকে চুল টেনে, মুখে ও বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে। পুলিশ সদস্যরাও আমাকে মারধর করে। আমি একজন নারী। ওর বউ-বাচ্চা থাকা সত্ত্বেও আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছে, সে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইদানিং ও (এএসপি) আমাকে এড়িয়ে চলছে। ও আমাকে বিয়ে না করলে আমি ও’র বিরুদ্ধে মামলা করবো।'
এ ব্যাপারে, সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, ’আমাদের সহকারী সার্কেল স্যারের বাসায় এক নারী গিয়ে ঝামেলা করছে শুনে আমরা সেখান থেকে ওই নারীকে এনে থানায় রেখেছিলাম। পরে, তার পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে তাকে নিয়ে যায়। এর বাইরে আমি কিছুই জানি না। কেননা এটি তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।
সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের সরকারী (এএসপি) রেজাউল হকের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে, মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, ‘মেয়েটি মঙ্গলবার সকালে আমার কার্যালয়ে এসেছিলো। কিন্তু আমি একটি মিটিং এ থাকার জন্য আমার সঙ্গে তার দেখা বা কথা হয়নি। তবে, তিনি যদি অভিযোগ করেন, তাহলে অভিযোগ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: