বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ৯০ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরে জেলে বহরে সশস্র ট্রলার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই ট্রলারের অন্তত ৩০ জেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ১৩ লাখ টাকার ইলিশ মাছ ও পাঁচ লাখ টাকার রসদ লুট করে ডাকাত দল।
ডাকাতদের কবলে পড়া জেলেরা শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরে এ তথ্য জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ৯০ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরের সশস্র ট্রলার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল এফবি জুনায়েদ ট্রলারের ১৩ জন ও এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ এর ১৭ জেলেকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ট্রলার দু’টির মধ্যে এফবি জুনায়েদ পাথরঘাটার আবদুল্লাহর ও এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ আলম মোল্লার।এফবি জুনায়েদ ট্রলারের জেলেরা হলেনঃ শাহজাহান মাঝি,মো.মিরাজ,শাহজাহান,শাহিন,মাসুম মিয়া,জাকির মিস্ত্রী, মোহাম্মদ আলী, জাকির হোসেন, রবিউল হক,শহিদুল ইসলাম,ও মো. মন্টু মিয়া। অন্য ট্রলারটি ঘাটে না আসায় জেলেদের নাম জানা যায়নি।
এফবি জুনায়েদ ট্রলারের মাঝি শাহজাহান ও মালিক আবদুল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করে কূলে ফিরে আসার পথে ৩০ জনের অস্ত্রধারী ডাকাত দল ট্রলারে উঠে জেলেদের জিম্মি করে। এসময় ডাকাত দল ট্রলারে থাকা পাঁচ লাখ টাকার মাছ, পাঁচ লাখ টাকার বরফ ও অন্যান্য বাজার সদাই লুটে নিয়ে যায়। ডাকাতদের পিটুনিতে মিরাজ,খোকন,মন্টু ও শাহজাহানসহ বেশ কয়েকজন জেলে আহত হয়েছেন। ডাকাতদের মধ্যে দু’জনের হাতে রিভলবার, দু’জনের হাতে পাইপগান, বাকিদের হাতে জিআই পাইপ ছিল। আহতদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়।এদিকে এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ ট্রলারের মালিক আলম মোল্লা জানান, আমার ট্রলারে অস্ত্রধারী ডাকাত দল অন্তত আট লাখ টাকার মাছ লুটে নিয়ে গেছে। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সশস্র ট্রলার ডাকাতি হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দুই ট্রলারের তথ্য পেলেও ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন, অন্তত ১০টি ট্রলার ডাকাতি হয়েছে। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। বিষয়টি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: