মোংলায় জোরপূর্বক অবৈধভাবে আদালতের দেয়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের মারুফ হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
ওই জমির ওপর আদালত ১৪৪ ধারা জারি করলেও প্রভাবশালী প্রতিপক্ষরা মানছেন না। জোর করে তারা জমিতে উঠানো বিল্ডি এর তৈরী ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে। এ বিষয়ে মোংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কামরুল শেখ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের কাপালির মেঠ গ্রামের মৃত আফতাব শেখের ছেলে কামরুল শেখ বুড়িরডাঙ্গা মৌজার ৩৫নং এস এ খতিয়ানের ৪০ নং দাগের ১৭৯,১৬১ নং বি, আর, এস খতিয়ানের ১৩৪,১৩৩ বি,আর,এস দাগের জমি ক্রয় করে দির্ঘদীন পরিবার নিয়ে বসবাস করছি।
কিন্তু বর্তমানে টাকার প্রয়োজনে সগির মুন্সির কাছে কবলা রেজিস্ট্রি করে দেই।
সম্প্রতি রামপাল এলাকার একটি প্রভাবশালী পরিবার এই জমিটুকু দখলের পাঁয়তারা শুরু করে।
সগির মুন্সি তার ক্রয় করা জমিতে ওয়াল করে পাকা ঘর নির্মাণ করে এবং উক্ত দাগে আরো জমি থাকায় জমি বায়না দিয়ে বায়নার টাকা থেকে বালু দিয়ে জমি ভরাটের এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সাথে নিয়ে গ্রহীতার সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে মারুফ ফকিরসহ ২০-৩০ জন লোক নিয়ে জমিতে বেড়া, নেট ও আরো বায়নাকৃত জমির সীমানা ও সগির মু্ন্সির পাকা ঘরটি ভেঙে ফেলে জমি দাবী করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাতে বাধা দিলে হাতাহাতির এক পর্যায়ে মারুফ ফকির এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে নেয় এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পানিতে পরে যায়। সগির মুন্সির নামের সাইনবোর্ডটি ভেঙ্গে ফেলে এবং তাকে দেখে নেবারও হুমকি দেয়।
অথচ আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। এসব উপেক্ষা করে সামাজিক প্রভাব বিস্তার করে জোরপূর্বক জমি দখল করে নিতে চায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মারুফ ফকির বলেন, আমি ২০১৯ সালে আমার নানার কাছ থেকে দলিল নেই। তার পরেও মামারা আমাকে অনেক ভোগান্তিতে ফেলছে। যেখানে আমি সহযোগীতা চাই সেখানে মামারা সময় নেয়। আমার জায়গায় বিল্ডিং করেছে আমি ভেঙ্গে দিছি। যে দাগে দলিল হইছে সেই দাগে ঘর উঠায়নি। ঘর উঠাইছে আরেক দাগে।
জমি দখলের বিষয়টি নিয়ে মোংলা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ওই জমি নিয়ে আদালতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। আদালতই ব্যাবস্থা নিবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: