নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় নিখোঁজের ১৩ ঘন্টা পর মুরগির খামারের পুকুরের কিনার থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত ব্যবসায়ীর পার্টনার রাকিব কে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহত মো.জাহিদ হোসেন (২৭) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গাংচিল এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ১১টার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এর আগে, গতকাল রোবার রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুড়া মিয়ার দোকন সংলগ্ন একটি প্রজেক্টের পুকুর থেকে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কোম্পানীগঞ্জের গাংচিল এলাকার বাসিন্দা জাহিদ ও কবিরহাট পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা (২৮) রাকিব। তারা দুইজন পার্টনারে কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুড়া মিয়ার দোকন সংলগ্ন একটি প্রজেক্ট লিজ নিয়ে একটি মুরগির খামার বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে তুলে। তারা দুইজন সেখানে থেকে যৌথ ভাবে এ খামার পরিচালনা করত। রোববার সকাল ৯ টার দিকে রাকিব নাস্তা করে এসে দেখে তার পার্টনার জাহিদ খামারে নেই। এরপর সকাল ১০ টার দিকে রাকিব জাহিদের স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানতে চায় তার স্বামী বাড়িতে গেছি কিনা। তখন জাহিদের স্ত্রী জানায় তার স্বামী বাড়িতে আসেনি। তবে স্থানীয়রা বলছে, মৃত্যুটি রহস্যজনক।
ওসি আরো জানায়, পরবর্তীতে টিকটিমের আত্মীয় স্বজনসহ সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার কোন সন্ধান পায়নি। তখন রাকিব আবার খামার দেখাশুনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রজেক্টের ভিতরে রাস্তা সংলগ্ন পুকুরের কোনায় জাহিদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে রাকিব। লাশ দেখে সে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবহিত করে। এরপর ইউপি সদস্য পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ নেই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ফেলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবার এ বিষয়ে মৌখিক বা লিখিত কোন ধরনের অভিযোগ করেনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।'
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: