নোয়াখালী ২৪ নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের লাইক পেজে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ আটজন জাতীয় নেতার ছবি দিয়ে জনমত যাচাইয়ে একটি পোস্টে লেখা হয় কে হচ্ছেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ওই পোস্টে সেতুমন্ত্রীর নিজ উপজেলা কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আইয়ুব আলী কমেন্ট করেন আমি হব।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইযুব আলী সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী। ওই পোস্টে তার এমন মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। অনেকে এমন মন্তব্যের কারণ খুঁজতে থাকেন? মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
আর সেই সাথে বইতে শুরু করে নানা সমালোচনা। ঘটনা বেগতিক দেখে ইউপি চেয়ারম্যান এরপর নিজেই কমেন্টটি সরিয়ে নেন।
আগামীকাল শনিবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় আপত্তিকর এ মন্তব্যের প্রতিবাদে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে সেতুমন্ত্রীর ভাগনে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজীস সালেকিন রিমন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রীর ভাগনে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজীস সালেকিন রিমন বলেন, সেতুমন্ত্রীকে হেয়প্রতিপন্ন করতে এ ধরেনর কমেন্ট করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিল ডাকা হয়েছে। আমরা দলের সিনিয়র নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেন এ ঘটনায় সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
কমেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আইযুব আলী কমেন্ট করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওবায়দুল কাদের জাতীয় নেতা। তিনি আমাদের গর্বের ধন। নোয়াখালীর সাংবাদিক হয়ে কেন এখানে এ কথাটা আসবে কেন হচ্ছেন। আমি ওই সাংবাদিককে ইঙ্গিত করে লিখেছি আমি হব।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ওবায়দুল কাদের আমাদের গর্বের ধন। উনি না হলেও সাংবাদিকরা নিউজ করতে পারে না। কে হচ্ছেন? আমরা একজন তৃণমূলের কর্মী। আমার পুনরায় জন্ম হলেও তো ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। এটা নিয়ে আবার লেখালেখির কি আছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কাদের মির্জা ঘোষিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল বলেন, এ ধরনের মন্তব্য ন্যাক্কারজনক।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেন, এ ধরনের মন্তব্য দুঃখজনক। এ ধরনের মন্তব্যকারীকে তিনি দল থেকে বহিষ্কারের দাবি করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: