বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বর্ষা মৌসুম আসলেই জনসাধারণের কষ্ট সীমাহীন দুর্ভোগ সৃস্টি হয় উপকুলীয় জেলা বরগুনায়।
কারন পায়রা ও বিষখালী এবং বলেশ্বর নদী ঘেরা এই জেলা। জোয়ারের পানি বাড়তে থাকায় ভেরি বাধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি ঢুকে পরে লোকালয়ে। এতে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পরে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জরুরী রক্ষনা বেক্ষন কাজ পাউবো কর্মকর্তা তাদের পছন্দের ঠিকাদারকে নামমাত্র টাকায় যেনতেন ভাবে করিয়ে নেয় এবং আয় করে অবৈধ ভাবে অনেক অর্থ। কাজ নাজুক হওয়ায় যা পরবর্তিতে আবার জনসাধারণের ভোগান্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়।
গত রবিবার থেকে জোয়ারের পানিতে বরগুনা জেলার ছয়টি উপজেলায় কমবেশী বেড়ীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়, এমন কি তালতলি, পাথরঘাটা বাঁধ ভেঙ্গে পানি লোকালয়ে ঢুকে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পরে। মানুষ অন্যত্র, বাঁধে অথবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়।
স্থানীয় পৌর শহরের রাসেল জানান, বরগুনা পৌর শহরের ভারানী খালের পাশের বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে এলাকার চাহিদা অনুযায়ী কোন প্রচার প্রচারনা ও টেন্ডার ছাড়া এস এস এবং শাহ জালালের পছন্দের ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদকে কাজ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঠিকাদার যেনতেন ভাবে দায় সারা গোছের নাজুক পাইলিং দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করার ধান্দা করছে।
স্থানীয় সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এসব কাজগুলো ঠিকাদারদের দিয়ে না করিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে করানো হলে কাজের মান ভাল হত।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে পাউবো অফিসে উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহা জালাল এর নিকট গিয়ে এস্টিমেটের ফটোকপি চাইলে আমার কাছে নাই বলে জানান এবং বলেন কাজ শেষ হয়ে গেছে। পরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আমার বাড়ি গোপালগঞ্জ, জানেন? আপনি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বিপন শাহার কাছে যান।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কি হয়েছে, এটা ইমারজেন্সি কাজ, ঠিকাদার বিল পাবে আগামী বছর জুন মাসে। এখানে ১০ লাখ টাকার কাজ, তবে আপনাদের অভিযোগ আমি লোক পাঠিয়ে দেখবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: