গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিন সহপাঠীর হাতে শাহরিয়ার রহমান শিহাব (১৫) নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আবদুর রাজ্জাক সুমন, জিন্নাহ মিয়া ও বাদশা মিয়া নামে তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, সুন্দরগঞ্জের পুর্ব বেলকা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে হত্যাকাণ্ডের শিকার শাহরিয়ার রহমান শিহাবকে গত ১৪ জুলাই রাত ১০টা ১৫ মিনিটে বেলকা চৌরাস্তা মোড় হতে তাকে মোবাইলে কল দিয়ে ডেকে এনে শিহাবের বাবার কাছে ৫০হাজার টাকা মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে তাকে অপহরণ করে তারই সহপাঠী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্য শান্তিরাম গ্রামের আতাউর রহমান ছেলে আবদুর রাজ্জাক সুমন, শান্তিরাম কালিয়ার ছড়া গ্রামের মঞ্জু মিয়ার ছেলে জিন্নাহ মিয়া ও শান্তিরাম ফোরকানিয়া গ্রামের বাদশা মিয়া। পরের দিন ১৫ জুলাই শিহাবের বাবা বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন। যার নম্বর- ৬৫৮। জিডি করার দিনই বিকেলে পুলিশ খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার খেয়াঘাটের পুর্ব দক্ষিণ পাশে তিস্তা নদীর পাড় হতে শিহাবের লাশ দেখতে পেয়েতাকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তিন হত্যাকারি শিহাবকে জুসের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে বস্তায় ঢুকিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলে এবং শিহাবকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে খুন করে লাশ গুম করে হত্যাকাণ্ডটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য মৃতদেহ তিস্তা নদীতে ফেলে দেয়।
পরে গাইবান্ধার পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বে গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের এসআই নওশাদ ও সুন্দরগঞ্জ থানার এ.এস.আই আরিফুল ইসলাম তদন্ত করে তথ্য উপাত্ত খুঁজে বের করে প্রযুক্তির সহায়তায় তিন হত্যাকারিকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর- ১৭।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু খায়ের, ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান, ট্রাফিক অফিসার ইনচার্জ নূর আলম সিদ্দিক, পুলিশ পরিদর্শক আফজাল হোসেন, এস.আই নওশাদ ও এ.এস.আই. আরিফুল ইসলাম।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: