মোংলায় আ'লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে হামলা-মারধর সহ ভোগদখলীয় সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে মোংলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শহরতলীর কুমারখালী এলাকার বাসিন্দা গৃহবধু মোসাঃ নুর নাহার বেগম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন-স্বামী ও সন্তানের কষ্টে উপর্জীত অর্থে মাছমারা এলাকায় আরাজী মাকড়ঢোন মৌজায় ১৯৯৯ সালে ৩০ শতক জমি ক্রয় ও বিগত প্রায় ২৩ বছর যাবৎ ভোগদখলও শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ হাবিবুর রহমান তার পূত্র সাদ্দাম, ফিরোজ, তারেক ১৪/১৫ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র-সশন্ত্র নিয়ে আমার ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে অনাধিকার প্রবেশ করে। এ সময় তারা উক্ত জমির উপর নির্মিত একটি কাঠের ঘর, ঘেরাবেড়া লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র-সশস্ত্র দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এ খবর পেয়ে স্বামী-পূত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে দেশীয় অস্ত্র-সশস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসে এবং শারিরীক ভাবে মারধর সহ জীবননাশের হুমকি দেয়।
এ সংবাদ সম্মেলেনে ওই গৃহবধু অভিযোগ করে বলেন, আমি ও আমার স্বামী সন্তানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার ভোগদখলীয় জমিতে নেট,বাশ দিয়ে ঘেরা বেড়া দিয়ে যাতায়াত পথ বন্ধ করে দেয়। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে ঘটনাস্থল থেকে রক্ষা পেয়ে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হই। পরে ন্যায় বিচারের আশায় এ ঘটনা স্থানীয় থানা পুলিশ সহ জনপ্রতিনিধিদের অবগত করি। কিন্তু কোন সুরাহ হয়নি। ভুমি দস্যু খ্যাত দখলদার এ গ্রুপটির বিরুদ্ধে অণ্যের জমিদখল সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয় জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনের উপরি মহলের সু-দৃস্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই গৃহবধু। এ সংবাদ সম্মেলনে তার স্বামী মোঃ হায়দার তালুকদার ও পূত্র মারুফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে হামলা ও জমিদখলের বিষয় অস্বীকার করে হাবিবুর রহমান বলেন, ওখানে তারও ক্রয়কৃত সম্পত্তি রয়েছে। সেখানে তিনি নতুন করে ঘেরাবেড়া দিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: