মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পদ্মা নদীতে ২৭ কেজি ওজনের তিনটি পাঙাস মাছ ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে মাছগুলো ধরা পড়ে। এগুলোর ওজন ৬.৫, ১০.৫ ও ১০ কেজি।
হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক ঘাট আড়তে তিনটি মাছ আরিচা থেকে আনা হয়েছে বলে বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য এবং আন্ধারমানিক ঘাট আড়তদার সুমন রাজবংশী রাধু জানান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে পদ্মায় তিনটি পাঙাস মাছ ধরা পড়ে। এগুলোর ওজন ৬.৫, ১০.৫ ও ১০ কেজি। শিবালয় উপজেলার আরিচা থেকে হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের বাল্লা এলাকার সুধীর হালদার ৬.৫ এ ১০.৫ কেজি ওজনের দুটি পাঙাস মাছ আনেন।
উপজেলার দাসকান্দি বয়ড়া এলাকার এবং ঢাকার ব্যবসায়ী মাসুম আনসারী ৬.৫ কেজি ওজনের পাঙাসটি ১১০০ টাকা দরে ৭ হাজার ১ শ ৫০ টাকা দিয়ে কিনে নেন। তবে ১০.৫ কেজির পাঙাসটি বিক্রি হয়নি।
এছাড়া হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী রতন দাস ১০ কেজি ওজনের পাঙাসটি আন্ধারমানিক আড়তে নিয়ে আসেন। মাছটি বয়ড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুর রহমান মহিদ কিনে নেন।
মাছ ব্যবসায়ী সুধীর হালদার বলেন, শিবালয় উপজেলার পদ্মা নদী থেকে জেলেরা দুটি পাঙাস মাছ ধরে আরিচা নিয়ে আসেন। আমি মাছটি কিনে আন্ধারমানিক আড়তে নিয়ে আসি। ৬.৫ কেজি ওজনের মাছটি ১১০০ টাকা করে বিক্রি করেছি। তবে আড়তে দেরি করে আসায় ১০.৫ কেজি ওজনের মাছটি বিক্রি করতে পারিনি।
আরেক মাছ ব্যবসায়ী রতন দাস বলেন, ১০ কেজি ওজনের পাঙাসটি ১১০০ টাকা দরে দড়িকান্দি গ্রামের মহিদুর রহমান মহিদের নিকট বিক্রি করেছি।
হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, এই মৌসুমে এখন পদ্মা নদীতে মাঝে মধ্যেই বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ১০-১৫ কেজির পাঙাস মাঝে মাঝে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। কয়েকদিন দিন ধরে পানি কমতে থাকায় আবার বড় বড় পাঙাশ, বাগাড়, আইর মাছ ধরা পড়ছে। হরিরামপুর এবং শিবালয়য়ের পদ্মা নদী মাছের অভয়াশ্রম।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: