পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি এবার বিনোদনপ্রেমীদের নজর কেড়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন।
দিনে জনসমাগম তেমন চোখে না পড়লেও সন্ধ্যা হলেই বাড়ছে ভিড়। ট্রেন কিংবা প্লাটফর্ম দেখতে নয় বিনোদনপ্রেমীদের নজর কেড়েছে স্টেশন এলাকায় নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন গেইট, অ্যাপ্রোচ রোড এবং কার পার্কিং এরিয়া।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আবার কেউ পরিবার নিয়ে এসেছেন। সবাই উপভোগ করছেন গেইট এবং অ্যাপ্রোচ রোডের সৌন্দর্য। তীব্র গরমে মুক্ত বাতাসে প্রাণ জুড়াতে কার পার্কিং এরিয়ায় হাটাহাটিও করছেন। দিনের বেলা রোদের তাপের কারণেই সন্ধ্যা থেকে জনসমাগম বাড়তে থাকে এখানে।
পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা ধাক্কামারা এলাকার শামসুজ্জোহা বলেন, শহরে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মতো তেমন বিনোদন কেন্দ্র নেই। শহরের কাছে হওয়ায় রেল স্টেশনে এসেছি। দৃষ্টিনন্দন গেইট, অ্যাপ্রোচ রোড আর ল্যাম্পপোস্টের আলোকসজ্জা বেশ উপভোগ করছি।
একই কথা বলেন, শাহিনুর ইসলাম নামের আরেক দর্শনার্থী। তিনি বলেন, শহরের পাশের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হলো হিমালয় পার্ক। কিন্তু সেখানে তরুন-তরুনীদের অবাধে ঘুরা ফেরার দৃশ্য দেখে পরিবার নিয়ে সময় কাটানো যায়না। আর সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর রাতের বেলা এই স্টেশনে এসে সময় কাটানোও বেশ উপভোগের।
বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন সাবিনুর রহমান। তিনি বলেন, সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এখানে এসেছি, বেশ উপভোগ করেছি। দৃষ্টিনন্দন গেট আর এপ্রোচ রোডের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে আমাদের খুব ভালো লাগছে। কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে জায়গাটির দেখভাল করলে এটিই হতে পারে জেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দৃষ্টিনন্দন গেট, অ্যাপ্রোচ রোড এবং কার পার্কিং এরিয়ার উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ৩৮ ফুট উচ্চতা ও ৫৬ ফুট চওড়া দৃষ্টিনন্দন গেইট, ৭৫ হাজার বর্গফুটের কার পার্কিং এরিয়া এবং ১২টি ল্যাম্পপোস্টসহ ৫০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট করে ৪০ ফুট প্রস্থ অ্যাপ্রোচ রোডের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
টুরিস্ট পুলিশ পঞ্চগড় জোনের অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবারের ঈদে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে টুরিস্ট পুলিশ পঞ্চগড় জোন কাজ করছে। জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে আমদের টহল অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে আগত পর্যটকরা যাতে হয়রানি বা ইভটিজিং এর শিকার না হয় সেজন্য সার্বিকভাবে কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকরা যদি টুরিস্ট পুলিশের কাছে কোন ধরনের সহযোগিতা চায় সেক্ষেত্রে টুরিস্ট পুলিশ পঞ্চগড় জোন তাদেরকে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: