বরগুনার তালতলী উপজেলায় জোয়ারের পানির চাপে বেরী বাঁধ ভেঙে ১৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে রান্নাঘর ডুবে যাওয়ায় রান্না বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক শত পরিবারের। মঙ্গলবার বেলা সারে ১১টার দিকে পায়রা নদীর জোয়ারের পানির চাপে তেতুলবাড়ীয়া এলাকার পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ১০০ মিটার এলাকা ভেঙে গেলে কমপক্ষে ৬০টি মাছের ঘের ও কয়েক শত বাড়ি প্লাবিত হয়।
স্থানীয়রা জানান, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অস্থায়ী বাঁধ অমাবস্যার জোয়ারের প্রবল স্রোতের চাপে ভেঙে যায়। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করায় শত মানুষ গ্রাম ছেড়ে বেড়িবাঁধের ওপর অবস্থান নিয়েছে। জোয়ারের পানির তোড়ে একাধিক স্থাপনা ও বসত ঘর ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা। পাশাপাশি বরগুনার নিম্নাঞ্চল সদরের গোড়াপদ্মা,কুমিরমারা, সোনাতলা পাথরঘাটার পদ্মা রুহিতা, সহ অনেক বেরীবাধের বাহিরের গ্রাম পানির নিচে চলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলেন ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তেতুলবাড়িয়া, নলবুনিয়া, আগাপাড়া, জয়ালভাংগা, ও বড় আংকুজানপাড়াসহ প্রায় ১৫ টি গ্রামে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এইর মধ্যে অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়ণ কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছেন। ডুবে গেছে বীজতলা ও সবজির ক্ষেত। এই ভাঙা বাঁধ এভাবে থাকলে দিনে-রাতে দুইবার পানিতে তলিয়ে থাকবে ১৫টি গ্রাম। তাই দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এসব গ্রামের লোকজন।
তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বেগম বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আমার বাড়িঘর সব তলিয়ে গেছে। এখন বেড়িবাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছি। আর যাওয়ার জায়গা নেই।
বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত আলমগীর জানান, আমার ঘের ভেসে যাওয়ায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তা ছাড়া প্রতিবছরই বাঁধ ভেঙে এমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। দ্রুত শক্ত বাধ নির্মাণ এলাবাসির প্রানের দাবি।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সাদিক তানভীর বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত সংস্কারের জন্য জিও ব্যাগ পাঠানো হচ্ছে পানির চাপ সামলানোর জন্য।
এ বিষয় জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: