রাজধানীর ডেমরায় ৪০ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবি অস্বীকার করায় মোছা. কাজী বরশা নামে এক গৃহবধূকে স্বামী হ্যালমেট দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে মাথার খুলি ফাঁটিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ডেমরা থানায় মামলা না নেওয়ায় আদালতের নির্দেশে গত (৬ জুলাই) বুধবার রাতে বরশার বাবা মো. বজলুর রহমান অভিযুক্ত রফিকুল আলম শাওনের (২৫) বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ শাওনকে গ্রেফতার করে। সে ডেমরার পূর্ব ডগাইর (মহাকাশ রোড) এলাকার মো. নাছির উদ্দিনের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের পরে প্রায় ১ বছর আগে বরশার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় শাওনের। এদিকের বিয়ের আগেই শাওনের মা হোসনে আরা ও তার পরিবার বাড়ী করার জন্য বরশার বাবার কাছে ৪০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এদিকে এ দাবি মেনে না নেওয়ায় প্রথমে শাওনকে বিয়ে দিতে রাজী হয়নি তার মা। পরবর্তীতে শাওন তার মাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বরশাকে বিয়ে করে। তারপর থেকেই আবারও ৪০ লক্ষ টাকা যৌতুক চেয়ে বিভিন্ন সময় বরশাকে মারধর করে শাওন। একই সঙ্গে তার মা বরশাকে নানা অনৈতিক কথা বলে মানসিক চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন।
বাদি বজলুর রহমান বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারী শাওন আবারও ৪০ লক্ষ টাকা আবারও দাবি করলে বরশা অস্বীকার করে। তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে শাওন হ্যালমেট দিয়ে সজোরে আঘাত করলে বরশার মাথার খুলি ফেটে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। এ ঘটনায় হ্যালমেট টুকরো টুকরো হয়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে বরশার পরিবার তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করেন। পরবর্তীতে বরশার মাথায় পচন ধরলে তাকে কয়েকমাস রাজধানীর ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার অপারেশন অফিসার সুব্রত কুমার পোদ্দার বলেন, যৌতুকলোভী শাওনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: