শিশুদের পড়ানো শিখতে প্রশিক্ষণ নিতে ২০ হাজার ২২৫ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা বিদেশ যাচ্ছেন। বিদেশের উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা দেখে দেশে প্রয়োগ করতেই তাদের বিদেশ পাঠানো হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) প্রকল্পের এ প্রশিক্ষণে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৫৯০ কোটি টাকা, জনপ্রতি প্রায় ৩ লাখ টাকা।
পড়ানো শিখতে এত কর্মকর্তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন দেশে শিক্ষার পদ্ধতি ও পরিবেশ কেমন তা দেখতেই বিদেশি প্রশিক্ষণের আয়োজন। তবে শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রশিক্ষণের জন্য এত শিক্ষক-কর্মকর্তার বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও উন্নত ও শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ৩৮ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পিইডিপি-৪ প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, প্রকল্পটির মূল অনুমোদনে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ৪০ হাজার কর্মকর্তার বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ও বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় কারণে এ খাতে বরাদ্দা কমানো হয়েছে এবং ২০ হাজার ২২৫ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হয়। ইতোমধ্যেই প্রায় ৮২০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা বিদেশ থেকে ঘুরে এসেছেন বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রকল্পটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার বণিক গণমাধ্যমকে বলেন, মানসম্মত শিক্ষা, জ্ঞান অর্জন ও দক্ষতার জন্য তারা বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে যাবেন। বিদেশে শিক্ষার পরিবেশ ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা দেখে দেশে প্রয়োগ করার জন্যই তারা যাবেন।
তিনি বলেন, আমাদের সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষক রয়েছে। সবাইকে তো আর নিচ্ছি না। যারা জেলা-উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হন তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেওয়ার জন্যই এই আয়োজন। শিক্ষকদের সমপর্যায়ের অন্যান্য বিভাগ থেকেও কর্মকর্তারা যাচ্ছেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে সরকারি কর্মকর্তারা আয়েশ করতে যান। পড়াশোনা শেখানোর জন্য বিদেশে গিয়ে প্রশিক্ষণের কোনো প্রয়োজন নেই।
এদিকে এ প্রকল্পে দেশেও প্রশিক্ষণের আয়োজন রয়েছে। যার খরচ রাখা হয়েছে ২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এই অর্থে দেশের ২ লাখ প্রাথমিকের শিক্ষক প্রশিক্ষণ নেবেন।
শিশুদের পড়ানো শিখতে প্রশিক্ষণ শিক্ষক ও কর্মকর্তা বিদেশ যাচ্ছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: