নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো.হাসিবুল বাশারকে (২৫) কুপিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে এক আসামিকে আটক করে পুলিশ। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক আটককৃত আসামির নাম ঠিকানা জানাতে পারে নি।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ২নং গোপালপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের সুবাহান মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসিবুল বাশার উপজেলার ২নং গোপালপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের ইউনুস মৌলভীর বাড়ির মৃত আবুল বাশারের ছেলে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী জানান, পূর্ব শক্রতার জের ধরে উপজেরার ২ নং গোপালপুর ইউনিয়নের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী হাসান,মাদক ব্যবসায়ী মাসুমও তাদের অস্ত্রধারী সাঙ্গপাঙ্গরা বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সুবাহান মার্কেট এলাকায় হাসিবুলের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা হাসিবুলকে ছুরি দিয়ে মাথায় ও গলায় জবাই করে গুরুত্বর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রাহাত চৌধুরী অভিযোগ করে আরো বলেন, কয়েক বছর আগে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাবেদ মিয়ার হাত ধরে ২ নং গোপালপুর ইউনিয়নের সালাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বিএনপি থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসেন। এরপর সালাউদ্দিনের হাত ধরে হাসান বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। হাসানের অপর সহযোগী মাসুম এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কিছু দিন আগে হাসান ও মাসুম তাদের অনুসারীদের নিয়ে আরেক ছেলের পায়ের রগ কেটে দেয়। ওই ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় মামলা হলেও পুলিশ তাদের কিছুই করতে পারে নি। ওই ঘটনায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিলে এ ঘটনা ঘটত না। হাসান ও মাসুমের প্রধান ক্ষমতার উৎস আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী সালাউদ্দিন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক একজনকে আটক করেছে। অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: