কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মোবাইল কেনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আবদুর রউফ নয়ন (৩৮) নামের এক রাজমিস্ত্রির হেলপার। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৬ জুলাই) সকালে উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের নোয়াগ্রামে। নিহত নয়ন একই গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে। তার তিন ছেলে ও ৯ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের ফুলগ্রাম থেকে এক যুবক মোবাইল বিক্রি করার জন্য একই ইউনিয়নের নোয়াগ্রামে নয়নের বাড়িতে আসে। মোবাইল বিক্রির সময় একই বাড়ীর কালাম নামে এক যুবক তাকে বাধা দেয়। এই নিয়ে কালাম ও নয়নের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয় এবং নানা হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এরই জের ধরে বুধবার সকালে আবদুর রউফ নয়ন নিজ বাড়ির পশ্চিম পাশের পুকুর পাড়ে গেলে একই বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম ক্ষুব্ধ হয়ে তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে আবদু রউফ নয়নকে বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে নয়নের আত্মচিৎকারে বাড়িতে থাকা তার বোন আসমা আক্তারসহ স্থানীয়রা দৌড়ে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবদুর রউফ নয়নের মা সবুরা বেগম আহাজারি করে বলেন, ‘আমার ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। আমার ছেলের কোন শক্র নেই। তুচ্ছ ঘটনায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই’।
নিহত নয়নের মামাতো বোন আনোয়ারা বেগমসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, মাদকসেবী ও বিক্রেতা আবুল কালামের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। গ্রামের যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সে। আমরা প্রশাসনের কাছে এ হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধিন রযেছে। অপরাধিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে’।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: