সালিশ বৈঠকের কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মাঝে তুলকালাম সংঘর্ষ হয়েছে, এতে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৮ জন। বৃহস্পতিবার রাত ১১.৩০ মিনিট থেকে পটুয়াখালীর রাংগাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের স্লুইজ বাজারে ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ইউনিয়নের নয়ার চর মিটার বাজার এলাকায় একটি সালিশ বৈঠকে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ শহিদুল খানের সাথে কথা কাটাকাটি হয় একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ মোশাররফ খানের ভাতিজা রিফাতের সাথে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে রিফাতকে চড় মারেন শহিদুল। এ ঘটনা মুহুর্তের মাঝে ছড়িয়ে পরলে মোশারেফ খানের লোকজন স্লুইজ বাজারে জড়ো হতে থাকেন। রাত এগারোটার দিকে শহিদুল খান তার লোকজন সহ স্লুইজ বাজারে প্রবেশ করলে দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে একে অপরকে উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলে পরে ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল খানের লোকজন শহিদুল খানের পক্ষ নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ইট পাটকেলের আঘাতে ভাংচুর করা হয় একটি ব্যাবসায়ীর দোকান ও ৫ টি মটর সাইকেল। সংঘর্ষে মোশারেফ খানের পক্ষের ১০ জন, শহিদুল খানের পক্ষের ৬ জন ও সাধারন মানুষ সহ কমপক্ষে ১৮ জনের আহত হবার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে স্থানীয় পুলিশ ফাড়ির ফোর্স এসে উভয় পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে বাজারের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দুই পক্ষের ৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গলাচিপা ও পটুয়াখালীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্পীড বোট যোগে রাতেই প্রেরন করা হয়েছে, বাকিদের প্রথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ মিজান ফরাজী বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, বাজারে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: