পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চার শ্রমিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার(১লা জুলাই)দুপুরে পৌরসভার এতিমখানা এলাকায় নির্মানাধীন মশিউর ইনফ্রাস্টাকচার লি:এর ৭ তলা ভবনের চার নির্মান শ্রমিককে স্টিল পাইপ দিয়ে বেধড়কভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান।
আজ শনিবার (০২ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনায় নির্মানাধীন ভবনের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মো: অহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার পুত্র রাহাত’র বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নির্মান শ্রমিকদের সর্দার মিন্টু মোল্লা জানান, ঘটনার দিন নির্মানাধীন ভবনে সিলিং প্লাষ্টারের কাজ করছিল শ্রমিকরা। এসময় বাতাসে বালু উড়ে গিয়ে পার্শ্বে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাস ভবনের উপর পড়ায় তিনি শ্রমিকদের অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে শুরু করেন।
এক পর্যায় তিনি ভবনের উপরে উঠে ষ্টীল পাইপ দিয়ে তাদের এলোপাথারি পেটাতে শুরু করেন।এতে চার শ্রমিক গুরুতর আহত হয় এবং অন্যরা ভয়ে দৌড়ে ভবন থেকে বের হয়ে যায়।
মিন্টু মোল্লা আরও জানান, আহত নির্মান শ্রমিক আবুল কালাম (৫০) ও চুন্নু মিয়া (৩৬) কে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির পর নিরাপত্তার অভাবে তারা হাসপাতাল ছেড়েছেন।
এছাড়া অপর আহত নির্মান শ্রমিক খাদেম (৬০) ও উজ্জ্বল (৩২) হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
নির্মানাধীন ভবনের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মো: অহিদুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও উপর থেকে নির্মান সামগ্রী ছিটকে যাতে নীচে না পড়তে পারে ত্রিপল টানিয়ে তা নিশ্চিত করে তিনি ভবনটির নির্মান কাজ দেখাশুনা করছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার পুত্র অহেতুক শ্রমিকদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এছাড়া নির্মান কাজ বন্ধ না করলে শ্রমিকদের আরও ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার হুমকী প্রদর্শন করেন।
প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো: জামাল হোসেন জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান এর আগেও নির্মান শ্রমিকদের একাধিকবার গালি গালাজ সহ কাজ না করতে ভয় ভীতি প্রদর্শন করেছেন। তবে কি কারনে তিনি ভবনটির নির্মান কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন, তা বলতে পারছি না।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান বলেন, ভবন মালিক সহ শ্রমিকদের বার বার বলার পরও নির্মানাধীন ভবন থেকে তারা নির্মান উপকরন ছিটকে পড়া বন্ধ করেনি। এতে তারা বাসায় চলাফেরা করা বিপদজনক হয়ে উঠেছে। শুক্রবারও উপর থেকে কাঠের টুকরো ছিটকে পড়ায় দুর্ঘটনার শংকা দেখা দেয়ায় তিনি দু’শ্রমিককে কাঠের টুকরো দিয়ে দু’একটা বারি মেরেছেন। তবে এতে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি।
কলাপাড়া থানার ওসি মো: জসিম বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: