চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কলাবাড়ী-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি অর্থের বিনিময়ে সাজানো পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগের পায়তারা করছে। অভিযোগ রয়েছে, ৪১ লাখ টাকার বিনিময়ে এ নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে। সে লক্ষ্যে আগামী মঙ্গলবার লোকদেখানো নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়েছে।
অভিযোগ আছে, বিদ্যালয়ের ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট পদে দামুড়হুদার গোপালপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুর রাব্বি, আয়া পদে রামনগর গ্রামের ছাগবার আলীর মেয়ে জুলেখা খাতুন, নিরাপত্তাকর্মী পদে গোপালপুর গ্রামের ফরজ আলীর ছেলে রিপন আলী এবং অফিস সহায়ক পদে রামনগর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে ইয়াছিন আলীকে নিয়োগ দিতে গোপন চুক্তি করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান ও সভাপতি সোহরাব হোসেন। সে লক্ষ্যে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে চারটি পদের বিপরীতে অন্তত ৪০টি দরখাস্ত জমা পড়ে। যার মধ্যে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নয়টি, আয়া পদে ১২টি, নিরাপত্তাকর্মী পদে ছয়টি ও অফিস সহায়ক পদে ১৩টি দরখাস্ত জমা পড়ে। এরপর প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান সভাপতি সোহরাব হোসেন ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য প্রধান শিক্ষকের শ্যালক রাশেদীন আমিনকে সাথে নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে দরকষাকষি শুরু করেন। এক পর্যায়ে চারটি পদের বিপরীতে অর্থের বিনিময়ে চার প্রার্থীকে চুড়ান্ত করেন।
এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে, এসব নিয়োগের জন্য আব্দুর রাব্বির সঙ্গে ১২ লাখ, জুলেখা খাতুনের সঙ্গে ৮ লাখ, রিপন আলীর সঙ্গে ৯ লাখ ও ইয়াছিন আলীর সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় সমঝোতা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার নিয়োগ পরীক্ষার সাজানো নাটক করে এই চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগের বিষয় একেবারেই সত্য না। তাছাড়া নিয়োগ চুড়ান্ত করবে কমিটি। আমি একা নিয়োগ দেয়ার মালিক না।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি সোহরাব হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে আমি বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: