আগামী ২৫ জুন খুলে দেওয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রীর অংশ নেয়ার কথা রয়েছে মাদারীপুরের বাংলাবাজার জনসভায়।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভাকে ঘিরে মাদারীপুরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নেতারা জেলা, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি চলছে মাঠ প্রস্তুতের কাজ।
স্থানীয় নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে ১০ লক্ষ্য লোক সমাগম হবে। জেলা পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে।
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা রুটের পদ্মা নদীতে নির্মিত পদ্মা সেতু ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীর এসে এই উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে চলছে সার্বিক প্রস্তুতি। তাকে বরণ করতে দলীয় নেতাকর্মীরা নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করছে। দফায় দফায় কেন্দ্রীয় নেতারা সভাস্থল পরিদর্শন করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মাদারীপুরের শিবচরে আগমনকে কেন্দ্র করে দিন-রাত চলছে প্রস্তুতি। পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে দিবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রশাসন সূত্র জানায়, শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি বাংলাবাজার এলাকার পদ্মা নদীর পাড়েই পদ্মা সেতুর আদলে সভামঞ্চ সাজানোর কাজ চলছে ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে। দিনরাত শ্রমিকরা কাজ করছে। ৪০ শয্যা বিশিষ্ট ৩টি অস্থায়ী হাসপাতাল ও ৬ শতাধিক বাথরুম বানানো হয়েছে। প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জনসভাস্থলের সভামঞ্চ পদ্মা সেতুর আদলে সাজানোর হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা চৌকি।
মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গুরুত্ব দিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে। সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এরই মধ্যে সাদা পোশাকের নিরাপত্তা বাহিনী মাঠে কাজ করছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: