বান্দরবানে সদর উপজেলায় কিশোর গ্যাং'র' দুই গ্রুপে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে দু পক্ষে আহত হয়ছে বেশ কয়েকজন। আহতদের সদর হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলা ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের আনসার ক্যান্টিনের সামনে এই ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাটি ব্যাপারে ঐ এলাকার ইউপি ওয়ার্ড সদস্য কুলছুমা বেগম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, তার মেয়েকে এক বখাটে ছেলে বিরক্ত করার কারণে রায়হান দল ও তারেক দল দুই পক্ষে মারমারী হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় ক্যান্টিনের মধ্য রায়হান ও তারেক নামের দু'পক্ষ উপস্থিত হয়। এক পর্যায়ের দু পক্ষে কথার কাটাকাটি মধ্যে বাকবিতন্ডায় শুরু হয়। পরে দু পক্ষের মধ্যে শুরু সংঘর্ষ । এ ঘটনায় আহত হয় ৫ জন।
স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা জানান, সকালে সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ে কথা বলতে যান রায়হান নামে এক যুবক। পরে ২ ছাত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতাটি দেখে ফেলেন মামুন নামের এক যুবক। সন্ধ্যায় কথাকাটি পরে শুরু হয় দু পক্ষের মারামারী। তবে দোষটি দু পক্ষের আছে বলে জানিয়েছেন।
আহত তারেকের ভাই কলিম উল্লাহ জানান, বিকালে আমার ভাইসহ কয়েকজন বন্ধু চা খাচ্ছিল। এ সময় রায়হান নামে ছেলে কয়েকজন মানুষকে নিয়ে এসে আমার ভাইয়ের উপর আক্রমণ করে। এ ঘটনায় আমার ভাই তারেক ও তার বন্ধু মোঃ ইমরান দুইজন আহত হয়েছে। তবে গুরুত্বর আহত হওয়ার কারণে মোঃ তারেক চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে বলে জানান।
অপর পক্ষে রায়হান উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যায় বেলায় দু সম্পর্কে আত্বীয় আমার বোন প্রাইভেটে থেকে ফিরে আসার সময় মামুন নামে এক যুবক তার পিছনে অনুসরণ করতে থাকে। পরে মেয়েটি কথা শুনে ঐ ছেলের সাথে সন্ধ্যায় দেখা করতে যান রায়হান। এতে তার কথাবার্তা অশ্লীন কারনে বাকবিন্ডায় পড়ে মামুনকে চড় মারেন। পরে শুরু হয় সংঘর্ষ । এ ঘটনায় আমাদের ৪ জন ও তাদের একজন আহত হয়। তিনি আরো বলেন সত্যতা জানতে ঐ মেয়েটি নিজের মুখে প্রকাশ করবে বলে জানান।
এদিকে সংঘর্ষে ঘটনাটি ঘিরে বান্দরবান সদর থানায় কোন মামলা করেননি দু পক্ষ। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধান করা হবে বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে ৪নং সুয়ালক ইউপি চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা বলেন, ঘটনা সম্পর্কে শুনেছেন। উভয়পক্ষকে নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করবেন। মেনে না নিলে উভয় পক্ষকে আইনের আশ্রয় নিতে বলবেন বলে জানান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: