কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে বিগবস কে। ইতোমধ্যেই শারীরিক গঠনে নাদুসনুদুস চেহারায় সবার নজর কেড়েছে বিগবস। মালিকের দাবি, আজ পর্যন্ত একটা ভিটামিন পর্যন্ত খাওয়ানো হয়নি তাকে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবারে লালন পালন করা হয়েছে।
বয়স মাত্র চার বছর। এখনই ওজন দাঁড়িয়েছে প্রায় সাতশত বিশ কেজি। ষাঁড়টিকে দেখতে প্রতিদিনই ভীড় করছেন উৎসুক জনতা। দূরদূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারাও। মালিক শখ করে তার নাম রেখেছেন 'বিগবস'।
ষাঁড়টির মালিক জামালপুরের সরিষাবাড়ীর সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণজানি বাজার সংলগ্ন মালিপাড়া এলাকার সুলতান মাহমুদ। তিনি ওই এলাকার শহীদ আলীর ছেলে।
সুলতান মাহমুদ বলেন, শাহিওয়াল জাতের ষাঁড় 'বিগবস'। ছোট থেকেই তার ইচ্ছে ছিলো এমন একটি গরু লালন পালন করার। প্রায় দীর্ঘ চার বছর নিজ সন্তানের মতো তাকে লালন পালন করছি। মায়ায় বাঁধনে জড়িয়ে গেছে, তাকে এখন বিক্রি করতে মন সায় দিচ্ছে না। ষাঁড়টির আনুমানিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ টাকা। তারপরও কেউ যদি ষাঁড়টি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে তবে কমবেশি করা যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
সুলতান মাহমুদের বাবা শহীদ আলী সময় ট্রিবিউন কে বলেন, ছেলে সুলতান মাহমুদের ইচ্ছেতেই গরুটি চার বছর ধরে লালন পালন করছি। সারাদিনই বিগবসের যত্ন করতে হয়। খাওয়ানো, গোসল করানো ও পরিচর্যাসহ সবকিছু লক্ষ রাখতে হয়। গরুটির যতটা না ওজন তার চেয়ে বেশি সুন্দর। পরিপূর্ণ দাঁতের এই গরুটিকে এখন প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ কেজি করে খাবার দিতে হচ্ছে। খাবারের তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, শুকনো খড়, গমের ভুষি, খেসারির ভুষি, ভুট্টাভাঙা, খৈল, কলা ও গুড়সহ নানারকম দেশীয় খাবার।
জীবন মিয়া নামে এক পথচারী জাগো নিউজকে বলেন, তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। সেই সুবাদে এ রাস্তায় যাতায়াত করে থাকেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এ গরুটি দেখে আসছেন। তার মতে, এমন গরু এ উপজেলায় আর একটিও দেখেননি তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজিজ, আবুল, নাসির উদ্দিনসহ অনেকে বলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা এবং এর আশেপাশের কয়েকটি উপজেলায় এমন গরু দেখিনি। চার বছর ধরে দেখছি, তারা গরুটিকে প্রাকৃতিক পরিবেশে লালন-পালন করছেন। এটা এ এলাকার সৌন্দর্য বলেও জানান তারা।
সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান (অতি.দা) সময় ট্রিবিউন কে বলেন, শাহিওয়াল জাতের গরুর জন্য স্পেশাল কোন খাবারের প্রয়োজন নেই। এদেরকে সবুজ ঘাস ও দানাদার জাতীয় খাবার দিলেই চলে। এ জাতের গরু পালন করা আমাদের দেশের জন্য খুবই উপযোগী। তাই এ জাতের গরু লালন পালনে খামারিদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: