কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে টাকার লেনদেনে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজকে আটক করে নির্বাচনী শৃঙ্খলা রক্ষায় ২৪ নং ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরবর্তীতে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপস্থিত হয়ে ইলিয়াসকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়৷
বুধবার (১৫জুন) দুপুরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক সংলগ্ন এটিএম বুথের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাস এলাকায় বিক্ষোভ-মিছিলে অস্থিতিশীল হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা, সহকারী প্রক্টর মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, সদর দক্ষিণ থানার ওসি দেবাশীষ রায় উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মেয়র পদপ্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ২৪ নং ওয়ার্ড পরিদর্শনে এলে হোসেন তার সাথে দেখা করেন। তিনি চলে যাওয়ার পর ইলিয়াসকে সার্চ করে ম্যাজিস্ট্রেট ২০ হাজার ৫০০ টাকা পায়। তখন সন্দেহের ভিত্তিতে তাকে আটক করে গাড়িতে তুলা হয়।
এ ব্যাপারে ইলিয়াস হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে ইলিয়াস হোসেন বলেন, সকল প্রার্থী এবং প্রার্থীদের এজেন্টদের ডেকে এনে যদি একজন বলতে পারে আমি কোন প্রার্থীর পক্ষে একশো টাকা দেয়ার জন্য বলি তাহলে আমি যেকোন শাস্তি মাথা পেতে নেবো। অথবা উনি কেন আমাকে বললো আমি ভোট কিনেছি, কী কারনে আমাকে চার্জ করলো? । আমি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত দিবো উনি কি কারনে এমনটা করলেন। আমি এখানে এসেছিলাম নাস্তা করতে, আর উনি আমাকে এখান থেকে ধরে নিছে। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আর ছাত্রলীগের সভাপতি আমার কাছে বিশ, পঞ্চাশ হাজার টাকা থাকা কি দোষের কিছু?
পরবর্তীতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আলোচনায় বসে। আলোচনা শেষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: কামরুল হাসান জানান, নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী, ভোটার, প্রশাসন সবাই কাজ করছে। সেখানে কিছু তথ্যগত ভুল থাকায় এরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ছাত্রদের সাথে বসেছিলাম। তাদের যদি কোন বক্তব্য থাকে তারা লিখিত দিলে আমরা তদন্ত করে দেখবো। আমরা সবাই চাই সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে যাতে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: