নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ৪নং চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.হানিফ সবুজের ওপর হামলার ঘটনায় কাদের মির্জার এক অনুসারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মো.খলিল (৩০) উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মানিক মাঝির মাড়ির মৃত মফিজ উল্যার ছেলে এবং সে কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে।
শনিবার (১১ জুন) ভোর রাতে বসুরহাট পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে গত মঙ্গলবার ৬ জুন রাতে হামলার শিকার ইউপি চেয়ারম্যানের পিতা আনিছল হক বাদী হয়ে মারধর,হত্যার চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কাদের মির্জার অনুসারী এবং চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ওমর ফারুক সবুজের আপন ছোট ভাই রহিম ওরফে রনিকে (৩৫)। এছাড়াও মামলার ২২নং আসামি করা হয়েছে কাদের মির্জার অন্যতম অনুসারী আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজকে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪-৫জনকে।
তারা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী। অপরদিকে,হামলাকারী আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ ও রহিম ওরফে রনি এবং প্রদীপ,দুলাল,খালেদ সাইফুল্যাহ,লাভলু,মিজানুর রহমান ওরফে পেট কাটা মিজান তারা মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনায় ওই মামলার ১১নং আসামিকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন,পুলিশ অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য,এর আগে গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী বিল্লা বাড়ির সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। মামলায় বলা হয়েছে,গত ইউপি নির্বাচনে ফখরুল ইসলাম সবুজ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করে বর্তমান চেয়রম্যান হানিফ সবুজের কাছে পরাজিত হয়। এরপর থেকে মামলার প্রধান আসামি রনি ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ সবুজকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার দুপুরে রনি প্রথমে চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায়। গুলি লক্ষ্য ভ্রষ্ট হলে হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। এ সময় হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের পকেট নগদ ৮০হাজার টাকা ও স্যামসাং মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে আহত ইউপি চেয়ারম্যান ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ এবং একজন সদস্যের ওপর নিজের অনুসারীদের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেন, স্থানীয় একটি বিরোধ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁরা কেউই তাঁর অনুসারী নন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
আব্দুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: