পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতারকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে তার পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে সাঁথিয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য এ দাবি করেন চেয়ারম্যানের স্ত্রী মিতু খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ০৪ জুন দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার সময় সাঁথিয়া পৌরসভার ছোট পুটিগাড়া এলাকার আব্দুল মতিনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। অথচ ওই ঘটনায় তার স্বামী নাগডেমরা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়ছে।
মিতু খাতুন বলেন, তার স্বামীর প্রতিপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ও তার ভাই জুয়েল পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে হাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করিয়েছেন। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের তাদের স্বজন, এলাকাবাসী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের সাথে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মাঝেমধ্যেই দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গত শনিবার রাতে সাঁথিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদের আপন ছোট ভাই জুয়েল রানা (৪০) ও তার চাচাতো ভাই আব্দুল মতিন (৪২)। অভিযোগ, পথিমধ্যে পৌর সদরের আউলাঘাটা ঘোনারচর নামক স্থানে ইছামতি নদীর পাড়ে পূর্ববিরোধের জের ধরে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা করে এলোপাথারী কোপায়। এ সময় মতিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর জুয়েল ইছামতি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে, হত্যায় নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: