পাবনা ও নাটোর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের দেয়া তথ্যে চুরি হওয়া পাঁচটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
শনিবার (০৪ জুন) দুপুরে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাবনার আমিনপুর থানার ঘোপসিলন্দা গ্রামের লিয়াকত মিয়ার ছেলে আল আমিন মুন্না (২৮), আটঘরিয়ার দেবোত্তর হিন্দুপাড়া গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৫), পাবনা সদর উপজেলার বালিয়াহালট গ্রামের মৃত সিদ্দিক প্রামানিকের ছেলে মনির হোসেন (৪০), চাটমোহর উপজেলার কৈলমহল গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে শিপন হোসেন (২৫)।
পুলিশ সুপার জানান, গত বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) দুপুরে নওগাঁ জেলার আত্রাইয়ের মাধাইমুড়ি এলাকার আসাদুর রহমানের একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল পাবনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আাদলত ভবনের সামনে থেকে চুরি হয়। পরে তিনি সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। মামলা তদন্তে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নামে। শনিবার ভোরে নাটোরের সিংড়া থেকে আল-আমিন মুন্নাকে প্রথমে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরো তিনজনকে আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন সময় চুরি হওয়া চারটি চোরাই ডিসকভার ও একটি হিরো মোটর সাইকেল।
পুলিশ সুপার মহিবুল জানান, মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ ও জড়িত চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মুন্নার বিরুদ্ধে তিনটি, সোহাগের বিরুদ্ধে দুইটি, শিপনের বিরুদ্ধে ছয়টি এবং মনিরের বিরুদ্ধে তিনটি চুরির মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করার পর মামলার দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জিন্না আল মামুন, সহকারী পুলিশ সুপার আরজুমান আক্তার, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আতাউর রহমান খন্দকার, পুলিশ পরিদর্শক অসিত কুমার বসাক সহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: