বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অসৎ উদ্দেশ্যে যৌথ ঘের ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তেলিগাতী ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তারের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যানের হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান মজুমদারসহ ঘের ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময়, তেলিগাতী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক বাহার হাওলাদার, ঘের ব্যবসায়ী মো. রেজাউল আকন, মো. খলিল হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জলার পঞ্চকরণ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, তেলিগাতী ইউনিয়নের মিস্ত্রিডাঙ্গা এলাকায় আমার বাবা, চাচা ও আত্মীয় স্বজনের ২৫ বিঘা জমি ও স্থানীয়দের জমি নিয়ে সর্বমোট ২শ বিঘা জমিতে ৫৪ জন জমির মালিক মিলে আমরা দীর্ঘদিন মৎস্য ঘের করে আসছি। আমাদের মালিকানাধীন জমি ছাড়া অন্যান্য যেসব জমি রয়েছে সেসব জমির জন্য কিছু জমির মালিকদের বাৎস্যরিক হারির টাকা প্রদান করে থাকি। যেহেতু বড় ঘের করি সেই কারণে পাঁচ বছর আগে তেলিগাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তারকে প্রতিবছর নিয়মিত ২০ হাজার টাকা প্রদান করে আসছি। কিন্তু এবছর কিছু জমির মালিককে ভুল বুঝিয়ে ঘের করার জন্য তাদেরকে জমির হারির টাকা দেয় চেয়ারম্যান। তার হাড়ির টাকা দেওয়া জমির পরিমান ১০-১২ বিঘার বেশি নয়। অন্য জমির মালিকরা যখন তাকে ঘের করার জন্য জমি দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন তিনি নানা ধরণের অপচেষ্টা শুরু করেন। তার স্বামী শফিকুল ইসলাম নান্টু লোকজন নিয়ে কয়েক কার্টুন পোনা নিয়ে ঘেরে আসেন। এলাকার লোকজন তাকে বাঁধা দেওয়া এবং পুলিশ আসায় সে চলে যায়। এছাড়া হাড়ির টাকা দেওয়া জমির মালিকদের বিভিন্ন প্রকার চাপ প্রয়োগ করে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়েছেন। আসলে সেসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। একজন জনপ্রতিনিধির এমন হীণ কাজের তীব্র নিন্দা জানান এই যুবলীগ নেতা।
অভিযোগের বিষয়ে তেলিগাতী ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তার বলেন, বদিউজ্জামান ও বাহার হাওলাদার যাদের জমি দখল করে ঘের করছেন আমার কাছে তারা অভিযোগ দিয়েছেন, এলাকায় মানববন্ধন করেছেন। এখানে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি চাই অসহায় কৃষক ও জমির মালিকরা তাদের ন্যয্য পাওনা পাক। তারা আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছে তার কোন ভিত্তি নেই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: