মাদারীপুর পৌর শহরে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে দুইটি ক্লিনিক ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও একটি ফিজিওথেরাপি সেন্টারে মুসলেকা নিয়ে একমাসের মধ্যে সকল কাগজপত্র নবায়ন করতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ডু। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রায়হান উপস্থিত ছিলেন। ১৯৮২ সালের (৮) এর ১৩ ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, মাদারীপুর পৌরশহরের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ১০ টির ও অধিক ক্লিনিক ও ১৩/১৪ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।এছাড়াও ছোটবড় বেসরকারি একাধিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরের পুরানবাজার, কাঠপট্টি, বাদামতলা, কলেজরোড, ঈদগাহ মাঠ, পানিছত্র, শকুনি লেকপাড়, সুমন হোটেল, পুরাতন বাসস্টান্ড, চরমুগরিয়া ও মস্তফাপুর এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
মঙ্গলবার বিকেলে পাঁচটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালালে,শহরের শকুনি লেকপারে অবস্থিত প্রত্যাশা প্রাঃ হাসপাতাল ও চরমুগরিয়ায় ইসাবাহ ক্লিনিকে লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় ত্রিশ ও পয়ত্রিশ হাজার টাকা করে মোট পয়ষট্টি হাজার জরিমানা পরবর্তী তাৎক্ষণিক আদায় সহ দুটি হাসপাতালই সিলগালা করা দেয়া হয়। এসময় চরমুগরিয়া আধুনিক প্রাঃ হাসপাতালের ভিতরে অবস্থিত একটি ঔষধ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ পাওয়ায় চার হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এদিকে শহরের সুমন হোটেল সংলগ্ন, মাদারীপুর ফিজিওথেরাপি সেন্টার হতে মুসলেকা গ্রহন করে লাইসেন্স সহ যাবতীয় কাগজপত্র নবায়নে একমাসের সময় বেধে দেয়া হয়। পরে পুরান বাজার বাদামতলা সড়কে অবস্থিত একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালাতে গিয়ে তা বন্ধ অবস্থায় পেলে সেখানে তালা লাগিয়ে দিতে বলেন ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযান পরিচালনা শেষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ডু জানান, সারাদেশে একযোগে লাইসেন্স বিহীন সকল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে যে অভিযান চলছে তারই ধারাবাহিকতায় মাদারীপুরে আজ এই অভিযান শুরু হয়েছে। আমরা কোন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ও যাবতীয় কাগজপত্রে ত্রুটি দেখতে পেলে তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নিচ্ছি। যা চলমান থাকবে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: