ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই চলছে রমরমা ব্যবসা। স্বাস্থ্য সেবার নামে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে রোগীরা। সরকার স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার তদারকিতে স্বাস্থ্য বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করাসহ বন্ধ করে দিচ্ছে অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় ঠাকুরগাঁওয়ে শনিবার (২৮মে) বিকেলে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান।
এসময় জেলা শহরের পাঁচটি ক্লিনিকে তারা অভিযান পরিচালনা করেন । পরে বিভিন্ন অনিয়ম ও নিবন্ধনহীন ক্লিনিকে কাগজপত্র না থাকায় মেডিনোভা ডক্টরস জোন এন্ড ডায়াগস্টিক সেন্টার, নিউরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও উত্তরা ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠানে সিলগালা করা হয়। সেসময় আটক করা হয় একজনকে।
অভিযান চলাকালীন সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, নিবন্ধনহীন না থাকা এবং লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগলা করা হয়েছে। এ ভ্রাম্যমান অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: